ঢাকা, রবিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘হেলিকপ্টার কিনেছেন’ পিরোজপুর সওজের দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা, তদন্তে দুদক

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৪
‘হেলিকপ্টার কিনেছেন’ পিরোজপুর সওজের দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা, তদন্তে দুদক

পিরোজপুর: পিরোজপুর সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের বিভাগীয় হিসাবরক্ষক মো. জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে একটি হেলিকপ্টার কেনার অভিযোগ উঠেছে। সড়ক বিভাগের একজন দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তার আকাশযানের মালিকানা রয়েছে- এমন খবরের সত্যতা অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

 

পিরোজপুর সড়ক বিভাগের বিভাগীয় হিসাবরক্ষক   জাকির হোসেন একজন দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা। তার গ্রামের বাড়ি বরগুনা জেলার বামনা উপজেলায়। জাকির হোসেনের স্ত্রী রত্না সুলতানা, মেয়ে শারমীন সুলতানা, ছেলে মো. শাহরিয়ার হোসেন ও বোন লাইজু আফরীন। ছেলে খুলনায় লেখাপড়া করে। চাকরির এখন প্রায় শেষ সময়ে তার সব মিলিয়ে মাসিক বেতন ৬০ হাজার টাকার মতো।   পিরোজপুর সড়ক বিভাগে কর্মরত আছেন গত প্রায় ছয় বছর ধরে। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে  তার পরিবারের মালিকানায় হেলিকপ্টার রয়েছে। এতো অল্প টাকা বেতনে চাকরি করে কী করে তার আকাশযান থাকতে পারে, সে ব্যাপারে প্রশ্ন উঠেছে।

দুদকের দেওয়া তথ্য সূত্রে জানা গেছে, জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে খুলনাসহ বিভিন্ন স্থানে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া অভিযোগ রয়েছে, খুলনা শহরে তার একাধিক বহুতল ভবন রয়েছে, তার পরিবারের কোনো সদস্যের মালিকানায় হেলিকপ্টার রয়েছে। প্রাথমিকভাবে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত হতে তদন্ত করছে দুদক। এজন্য গত ১৩ জানুয়ারি বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে (বেবিচক) চিঠি দিয়েছেন পিরোজপুর দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তা কামরুজ্জামান।

তবে জাকির হোসেন এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার নামে কোনো গাড়িই নেই, আমি কী করে হেলিকপ্টার কিনব। এটা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার।

সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী তানভীর আহমেদ বলেছেন, ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টি শুনেছি। জাকিরের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক কোনো অভিযোগ আমার কাছে আসেনি। তবে ঘটনার সত্যতা পেলে নিয়ম অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে পিরোজপুর জেলা দুদকের উপ-পরিচালক শেখ গোলাম মাওলা বলেন, জাকির হোসেন বা তার পরিবারের কোনো সদস্যের হেলিকপ্টারের মালিকানা রয়েছে কি না তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষে এ বিষয়ে বলা যাবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৪
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।