ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার অপসারণ দাবি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৪
কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার অপসারণ দাবি

নড়াইল: নড়াইলের কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শশাঙ্ক চন্দ্র ঘোষের অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে।  

শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে কালিয়া উপজেলাবাসীর আয়োজনে কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় বক্তব্য দেন- কালিয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র আসলাম ভুঁইয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিয়ার রহমান, খান লুৎফর রহমান ও আব্দুল মান্নান, বাবর আলী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের সেক্রেটারি ইয়াসিন জনি প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ডাক্তার শশাঙ্ক চন্দ্র ঘোষ কালিয়ায় যোগদানের পর নারী কেলেঙ্কারি, সরকারি টাকা আত্মসাৎ, রোগীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারসহ নীতি-নৈতিকতাবিরোধী কাজ করে যাচ্ছেন। এমনকি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করার নজীর স্থাপন করেছেন। সঙ্গত কারণে ডাক্তার শশাঙ্ককে কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার পদ থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে। এসময় তারা সময় সীমা বেধে দেন।

বক্তারা অভিযোগ করেন, ক্লিনিক বন্ধের হুমকি দিয়ে মালিকদের কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদাদাবি, রোগীকল্যাণ সমিতির টাকা তুলে নেওয়াসহ তাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে থাকেন ডা. শশাঙ্ক। ওইসব দুর্নীতি ও অনিয়মের প্রতিকার ও বিচারের জন্য গত ৬ ফেব্রুয়ারি উপজেলা ক্লিনিক মালিক সমিতির সভাপতি মো. মোতালেব হোসেনসহ ৯ জন নড়াইলের সিভিল সার্জনসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগও করেছেন। বক্তারা অবিলম্বে ডা. শশাঙ্ককে অপসারণসহ তার অপকর্মের বিচার দাবিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

এ ব্যাপারে ডাক্তার শশাঙ্ক চন্দ্র ঘোষ বাংলানিউজকে বলেন, ২০২৩ সালের ১৩ আগস্ট কালিয়ায় যোগদানের পর থেকে হাসপাতালের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। হাসপাতালে বিভিন্ন পরীক্ষাসমূহ চালু করাসহ সেবার মান বৃদ্ধিতে একটি মহল আমার ওপর ক্ষুদ্ধ হয়েছেন।

টাকা গ্রহণ সংক্রান্ত অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন তিনি। কয়েকটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অনুমোদন না থাকায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ায় ভুক্তভোগীরা ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন বলে দাবি করেন তিনি।

তবে ডা. শশাঙ্ক চন্দ্র ঘোষের আগের কর্মস্থল মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় থাকাকালীন তাঁর বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের ব্যাপারে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।