ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আরও স্মার্ট করা হবে: প্রতিমন্ত্রী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৪
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আরও স্মার্ট করা হবে: প্রতিমন্ত্রী

পটুয়াখালী: দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী অধ্যক্ষ মো. মহিববুর রহমান বলেছেন, ১৯৬৫ সালের ভয়াবহ বন্যায় আমি আমার ভাই-বোনকে হারিয়েছি, বাড়ি-ঘর হারিয়েছি। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দুর্যোগপ্রবণ এলাকার মানুষ হিসেবে আমাকে এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন।

আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নের সঙ্গে সঙ্গে আমি এ মন্ত্রণালয়কেও স্মার্ট মন্ত্রণালয় হিসেবে গড়ে তুলতে চেষ্টা করব। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আমরা আরও স্মার্ট হব।

তিনি আরও বলেন, আগামী বাজেটে দেশের দুর্যোগপ্রবণ এলাকাগুলোর চাহিদা অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড় বহুমুখী আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দেওয়া হবে।

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল কুয়াকাটা রাখাইন নারী মার্কেট মাঠে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে দুর্যোগ পূর্বপ্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) স্বেচ্ছাসেবকদের উদ্বুদ্ধকরণ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, দেশের সব মুজিব কেল্লাকে শিক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্ত করার জন্য আমার মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছি। যাতে প্রতিটি মুজিব কেল্লা সর্বদা ব্যবহার হয়। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আমি আপনাদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, আগামী দিনগুলোতে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে সিপিপিকে সম্পৃক্ত করা হবে। যে সমস্ত স্বেচ্ছাসেবক অসহায়, দুস্থ রয়েছেন, তাদের ঈদ, কোরবানিতে প্রণোদনা দেওয়া হবে। এছাড়া মৃত স্বেচ্ছাসেবকদের পরিবারকে ও অসুস্থ স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তার পরিমাণ বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করছি।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন দুর্যোগ ও ত্রাণ অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক মো. মিজানুর রহমান, দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রবিউল ইসলাম, উপসচিব ফারুক হোসেন, কেয়ার বাংলাদেশের ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর মিস্টার রামদাস, সিপিপির মহাসচিব কাজী শফিকুল আজম, আই ও এম এর কান্ট্রি ডিরেক্টর মিস্টার আব্দুস সাত্তার ইসোয়েভ, জাগো নারী ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক হোসনেয়ারা হাসি, দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রবিউল ইসলাম ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলমগীর হোসেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সিপিপির পরিচালক প্রশাসন মো. আহমেদুল হক।


এর আগে নয়জন অসুস্থ সিপিপি স্বেচ্ছাসেবককে আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া হয়। এছাড়া এসময় ১০ হাজার জেলের মধ্যে বয়া বিতরণ করা হয়। পরে অনুষ্ঠানস্থলে সিপিপি স্বেচ্ছাসেবকদের উদ্যোগে মাঠ মহড়া ও রাখাইন শিল্পীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।

বাংলাদেশ সময়: ০৮১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৪
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।