ঢাকা, রবিবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কর্মশালায় বক্তারা

পিছিয়ে পার্বত্য অঞ্চল, দারিদ্র্যের হার ৪৮.১৩ শতাংশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৪
পিছিয়ে পার্বত্য অঞ্চল, দারিদ্র্যের হার ৪৮.১৩ শতাংশ

খাগড়াছড়ি: সমতলের চেয়ে তিন পার্বত্য জেলার জনগোষ্ঠী জীবনমানের দিক থেকে এখনও অনেক পিছিয়ে। জাতীয় পর্যায়ে দারিদ্র্যের হার ২৪ দশমিক ৩ শতাংশ হলেও পার্বত্যাঞ্চলে সেই হার ৪৮ দশমিক ১৩ শতাংশ।

 

এর মধ্যে দারিদ্র্যের হার সবচেয়ে বেশি বান্দরবানে। এ জেলায় হার ৬৩ দশমিক ২ শতাংশ, খাগড়াছড়িতে ৫২ দশমিক ৭ শতাংশ এবং রাঙামাটিতে ২৮ দশমিক ৫ শতাংশ। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য এবং অতি দরিদ্র পরিবারগুলোর সহনশীল জীবিকার জন্য সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত ভূমিকা প্রয়োজন।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগিতায় এবং মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের (এমজেএফ) নেতৃত্বে খাগড়াছড়িতে বাস্তবায়নাধীন ‘পার্টনারশিপ ফর রেজিলিয়েন্ট লাইভলিহুডস ইন সিইএইচটি রিজিয়ন (পিআরএলসি)’ প্রকল্পের অবহিতকরণ কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী শাহীন আনাম।

তিনি বলেন, পাহাড়ের ২০ হাজার পরিবারকে উন্নয়নে মূল স্রোতে সংযুক্ত করা এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য। এমজেএফ ছাড়াও অনেক দেশি-বিদেশী উন্নয়ন সহযোগী অনেকদিন ধরেই পাহাড়ে সক্রিয় রয়েছে। সবার উদ্যোগে পাহাড়ের প্রান্তিক মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে এবং জীবনমানের পরিবর্তনে এমজেএফ অঙ্গীকারবদ্ধ।

প্রধান অতিথি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু বলেন, তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে যোগাযোগ এবং ভৌগোলিকভাবে খাগড়াছড়ি অন্য দুই পার্বত্য জেলার চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। যেহেতু সরকারি পরিসংখ্যানে আমরা দারিদ্র্যের হারে পিছিয়ে রয়েছি, সেহেতু এ বিষয়ে আমাদের সজাগ হতে হবে।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা টিটন খীসা, সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ছাবের, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রুমানা আক্তার, এমজেএফের কর্মসূচি সমন্বয়ক ও ডেলিগেশন অব ইইউ টু বাংলাদেশ মেহের নিগার ভূইয়া এবং জেলা পরিষদ সদস্য শতরুপা চাকমা।

পিআরএলসি প্রকল্পটি ২০২৩ সাল থেকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত তিন পার্বত্য জেলার আট উপজেলার প্রায় এক লাখ (বিশ হাজার অতিদরিদ্র পরিবার) জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে কাজ করবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৪
এডি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।