চাঁপাইনবাবগঞ্জ: চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে এক নারীর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে তাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করেছেন ওই নারী।
গত ৩ মার্চ রাতে উপজেলার দলদলী ইউনিয়ন পরিষদের উত্তরে ইউনুস আলীর মেয়ে রেনুফা খাতুনের বাড়িতে এ আগুন দেওয়া হয়। দ্রুতই আগুন ছড়িয়ে পড়লে বাড়ির আসবাবপত্র সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। পরে ৫ মার্চ রাতে ভোলাহাট থানায় সাবেক স্বামী এমদাদুল হকের বিরুদ্ধে মামলা করেন ওই নারী।
রেনুফা খাতুন মামলার অভিযোগে বলেন, আমি আমার সাবেক স্বামী এমদাদুল হককে ডির্ভোস দিয়ে অন্য একজনের সঙ্গে সংসার করছি। এ খবর পেয়ে তার বন্ধুরা গত ৩ মার্চ রাতে আমার ঘরের দরজায় বাইরে থেকে তালা দিয়ে আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যায়। এক ঘরে আমি ও অন্য ঘরে আমার মা, ছেলে-মেয়ে শুয়েছিল। তবে ওই সময় বর্তমান স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। আগুন দেখে চিৎকার করতে থাকলে প্রতিবেশীরা এসে তালা ভেঙে আমাদের বের করে।
তিনি আরও বলেন, আমার এখন কিছুই নেই, সব পুড়ে শেষ হয়ে গেছে। পাড়া-প্রতিবেশীদের দেওয়া কাপড় পরে আছি। এলাকার মানুষ যা দিচ্ছে খেয়ে দিনের বেলা বাগানে ও রাতে অন্যের বাড়িতে থাকছি।
প্রতিবেশী শেখা খাতুন বলেন, বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার শুনে বাড়ি থেকে বের হয়ে দেখি রেনুফার বাড়িতে আগুন জ্বলছে। কাছে এসে দেখি তারা ঘরে, কিন্তু বাইরে থেকে দরজায় তালা দেওয়া। দরজা ভেঙে তাদের বের করি।
দলদলী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড মেম্বার বাবু জানান, ৩ মার্চ রাতে শুনতে পাই ইউনিয়নের পেছনের বাড়িতে আগুন লেগেছে। এসে দেখি বাড়িতে যা ছিল সব পুড়ে শেষ হয়ে গেছে। ঘরের দরজায় বাইরে থেকে তালাবদ্ধ থাকায় ধারণা করা হচ্ছে কেউ শত্রুতাবশত এ ধরনের কাজ করেছে।
তবে আগুন দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে এমদাদ বলেন, আর কোনো সম্পর্ক না থাকায় তার কোনো খোঁজ রাখি না। আগুন দেওয়ার অভিযোগও সত্য নয়।
উল্টো তিনি দাবি করেন, প্রতিবেদকের কাছেই প্রথম তিনি তার সাবেক স্ত্রীর বাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা শুনলেন।
ভোলাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার বলেন, এ ঘটনায় ভোলাহাট থানায় এজাহার হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০২৪
এইচএ/