ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মিথ্যা ধর্ষণ মামলা করাই কোহিনুরের পেশা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২৪
মিথ্যা ধর্ষণ মামলা করাই কোহিনুরের পেশা গ্রেপ্তার কোহিনুর আক্তার

চাঁদপুর: চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার পালগিরি গ্রামের কোহিনুর আক্তার (৩৩)। আর্থিক ও অন্যান্য সুবিধার জন্য ভাড়াটিয়া হয়ে পুরুষদের নামে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা করাই তার পেশা।

এই পর্যন্ত বেশ কয়েকটি ধর্ষণ মামলার বাদী কোহিনুর।  

তার এমন মিথ্যা ধর্ষণ মামলার শিকার একই উপজেলার রহিমানগর এলাকার মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে নাজির উল্লাহ স্বপন। মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় এখন কারাগারে কোহিনুর।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিকেলে উপজেলার পালগিরি উত্তর পাড়া বাড়ি থেকে কোহিনুরকে গ্রেপ্তার করেন কচুয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিন্টু কুমার।

পরদিন শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে চাঁদপুর আদালতে পাঠানো হয় তাকে।  

এসআই মিন্টু কুমার বলেন, তথ্য নিয়ে জানতে পারি কোহিনুরের বিরুদ্ধে আগেও শাহরাস্তি থানায় ২৯০ ধারায় মামলা হয়েছে। নাজির উল্লাহ স্বপনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন কোহিনুর। ওই মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় খারিজ করে দেন আদালত এবং বাদী কোহিনুরের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী। অভিযোগের প্রেক্ষিতে কচুয়া থানাকে অভিযোগটি মামলা আকারে গ্রহণ করার নির্দেশ দেন আদালত। মামলাটি গ্রহণ করে আসামি কোহিনুরকে গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশ।

মামলার বাদী নাজির উল্লাহ স্বপন বলেন, আমার আপন ভাই বুলনের সঙ্গে সম্পত্তিগত বিরোধ আছে। ওই বিরোধকে আমার ভাই কাজে লাগানোর জন্য যৌন কর্মী কোহিনুর আক্তারকে ভাড়া করেন। তাকে দিয়ে চাঁদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ধর্ষণ মামলা করান তিনি। ওই মামলায় আমি তিন মাস কারাভোগ করে জামিনে মুক্ত হই। এরই মধ্যে আদালত আমার ডিএনএ টেস্ট করে ধর্ষণের আলামত পায়নি। যার ফলে চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি মামলাটি খারিজ করেন। এরপর আমি নিজে কোহিনুরের বিরুদ্ধে একই আদালতে চলতি মাসের ৪ তারিখে ১৭ ধারায় অভিযোগ করি।  

স্বপন আরও বলেন, এই মিথ্যা ধর্ষণ মামলায় আমার আর্থিক ক্ষতিসহ মানসিকভাবে হয়রানি ও সম্মানহানি হয়েছে। ওই নারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হলে অনেক পুরুষ তার হয়রানি থেকে রক্ষা পাবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কোহিনুর আক্তার নিজের স্বামী দাবি করে এই পর্যন্ত ঢাকা, কচুয়া ও শাহরাস্তিতে ৩ ব্যক্তির নামে মামলা দায়ের করেছেন। গতকাল ১৫ মার্চ গ্রেপ্তারের পর সন্ধ্যায় শাহরাস্তির ব্যবসায়ী প্রদীপ সরকার নামে ব্যক্তি থানায় এসে নিজেকে কোহিনুরের স্বামী দাবি করেন। পরে এসআই মিন্টু কুমার তাকে বিয়ের কাগজপত্র নিয়ে আসার জন্য বললে তিনি আর আসেননি।

কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, আদালতের নির্দেশে আমরা নাজির উল্লাহ স্বপনের মামলাটি এফআইআরভুক্ত করি। ওই মামলায় গতকাল কোহিনুরকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ দুপুরে তাকে চাঁদপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২৪
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।