ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

জলবায়ুর ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন: কৃষিমন্ত্রী 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২০ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২৪
জলবায়ুর ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন: কৃষিমন্ত্রী 

ঢাকা: আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ।

শনিবার (২৪ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর বিজয় সরণিতে বঙ্গবন্ধু সামরিক যাদুঘরের মিলনায়তনে বিশ্ব আবহাওয়া দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেন, এবছর আবহাওয়া দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে, ‘অ্যাট দ্য ফ্রন্টলাইন অব ক্লাইমেট অ্যাকশন’। এ প্রতিপাদ্যের আলোকে আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। আমাদের কর্মকাণ্ডে পরিবেশ ও জলবায়ুর ওপর কি প্রভাব পড়তে পাড়ে, তা সবাগ্রে বিবেচনায় নিতে হবে।  

তিনি আরও বলেন, আমরা আমাদের সবার প্রজ্ঞা ও শক্তিকে কাজে লাগিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করি, এমন ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য কাজি করি, যেখানে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলো প্রশমিত হয় এবং আগামী প্রজন্মের জন্য একটি টেকসই ও নিরাপদ বিশ্ব গড়ে তুলি।

কৃষিমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, আগামী দিনের আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস, বার্তা ও পদক্ষেপ আমাদের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় আর বেশি অবদান রাখবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

উৎপাদক এবং ভোক্তা পর্যায়ে দামের বিরাট পার্থক্যের কারণ কি অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে কৃষিমন্ত্রী বলেন, এর কারণ আগে যারা উৎপাদন করে, আর যারা বাজারজাত করে দুই পক্ষকে জিজ্ঞেস করতে হবে। তাহলে এর উত্তর পাবেন। কৃষিমন্ত্রী উৎপাদনের সময়ে তাদের বাড়িতে থাকে না, বাজারজাত করার সময়েও পরিবহনের কোনো পার্ট না। আমরা চাই ভোক্তার চাহিদা পূরণ এবং কৃষিপণ্য উৎপাদক যেন ন্যায্য মুল্য থেকে বঞ্চিত না হয়। এ দুইয়ের সমন্বয় হচ্ছে আমাদের লক্ষ্য।  

কৃষি বিপণন কর্পোরেশন ২৯টি কৃষি পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করে দিলেও পরবর্তীতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কেন পিছিয়েেএলো এমন প্রশ্ন মন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।

আবহাওয়া অধিদপ্তর পরিচালক মো. আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশ্ব আবহাওয়া দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব গোলাম মো. হাসিবুল।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের প্রধান ড. মো. শামীম হাসান ভূইয়া বাংলাদেশের আবহাওয়া ও জলবায়ু সম্পর্কিত সার্বিক কার্যক্রম সম্বলিত একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

বাংলাদেশসহ বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার ১৯৩টি সদস্য দেশ ও অঞ্চল প্রতি বছর বিশেষ মর্যাদায় ২৩ মার্চ বিশ্ব আবহাওয়া দিবস হিসেবে পালন করে। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার নির্ধারিত ১টি প্রতিপাদ্যকে কেন্দ্র করে আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় করণীয় এবং অনুসরণীয় বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করাই এ দিবসটির মূল লক্ষ্য। এ বছরের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে 'অ্যাট দ্য ফ্রন্টলাইন অব ক্লাইমেট অ্যাকশন'।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২৪
আরকেআর/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।