ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

অবৈধ সম্পদ অর্জন

সাবেক এমপি বাবলু ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২৪
সাবেক এমপি বাবলু ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

বগুড়া: প্রায় দুই কোটি টাকা মূল্যের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বগুড়া-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলু ও তার স্ত্রী মোছা. বিউটি খাতুনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (২৫ মার্চ) দুদকের বগুড়া সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন।

প্রথম মামলার এজাহারে রেজাউল করিম বাবলুর বিরুদ্ধে ৭৫ লাখ ২৯ হাজার ৪৭৮ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ জারি করেছিল দুদক। ২০২২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন বাবলু। দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে সাবেক এমপি বাবলু স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে এক কোটি ৩২ লাখ ৭৪ হাজার ৪৬০ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য দেন তিনি। কিন্তু সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে আয় ও ব্যয় মিলিয়ে ৭৫ লাখ ২৯ হাজার ৪৭৮ টাকার বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি। এই অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

অন্যদিকে দ্বিতীয় মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, মোছা. বিউটি খাতুন একজন গৃহিণী হওয়া সত্ত্বেও এক কোটি পাঁচ লাখ ১০ হাজার ২৯৩ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মিলেছে। তার সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে মোট স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ পাওয়া যায় এক কোটি ৪২ লাখ ৬ হাজার ২৯৩ টাকার। অর্জিত সম্পদের বিপরীতে তার দায়-দেনার পরিমাণ পাওয়া যায় ১৫ লাখ টাকা। যা বাদ দিলে সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় এক কোটি ২৭ লাখ ৬ হাজার ২৯৩ টাকা।

এ সম্পদ অর্জনের বিপরীতে তার আয় পাওয়া যায় ২১ লাখ ৯৬ হাজার টাকার। এক কোটি পাঁচ লাখ ১০ হাজার ২৯৩ টাকার সম্পদ অবৈধ বলে দুদকের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে।

দুদক বগুড়া সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, গত ২০ মার্চ পৃথক দুটি মামলা দায়ের করতে কমিশন থেকে অনুমোদন দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২৪
কেইউএ/এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।