ঢাকা: আজ ২৫ রমজান। ঈদুল ফিতরের বাকি আরও কয়েকদিন।
বিমানবন্দর রেলস্টেশনের প্রবেশ গেটেই রয়েছে টিকেট চেকার। যারা অনলাইনে আগেই টিকেট কেটেছেন তাদের টিকেট চেক করে ভেতরে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন। যাদের টিকেট নেই তাদের টিকেট কাটতে হচ্ছে। এদিকে নির্ধারিত ট্রেনের জন্য যাত্রীরা প্লাটফর্মগুলোতে বসে অপেক্ষা করছেন৷ তবে স্টেশনে উপচেপড়া ভিড় নেই।
এদিকে বিমানবন্দর রেলস্টেশনের ভেতরে রয়েছে পুলিশের তথ্য কেন্দ্র। সেখানেও যাত্রীদের সেবা দিচ্ছে রেল পুলিশ। স্টেশনের ভেতরে ও বাইরে মোতায়েন রয়েছে পর্যাপ্ত আনসার সদস্য। এদিকে, টিকিট ছাড়া কাউকে প্লাটফর্মের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) রাজধানীর বিমানবন্দর রেলস্টেশনে এমন চিত্র দেখা য়ায়।
বিমানবন্দরে স্টেশনে ট্রেনের অপেক্ষায় ছিলেন মুজাক্কির হোসাইন। তার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আজমপুরে। তিনি রাজধানীর বেসরকারি আইইউবিএটি ইউনিভার্সিটির একজন শিক্ষার্থী। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ইউনিভার্সিটি বন্ধ হয়ে গেছে৷ তাই তিনি বাড়ির উদ্দেশে রওনা করেছেন।
তিনি বলেন, কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনে একটি টিকেট কেটেছিলাম অনলাইনে। আজ দুপুরে ট্রেনের টাইম। ইউনিভার্সিটির ক্লাস শেষ তাই যাত্রীদের চাপ বাড়ার আগেভাগেই বাড়ি যাচ্ছি৷
রহমান মুস্তাফিজুর নামে এক যাত্রী প্লাটফর্মে অপেক্ষা করছেন। তার সঙ্গে রয়েছে পরিবারের ৪ সদস্য। তিনি বলেন, আমার ছুটি এখনো হয়নি। আমি পরিবারের সদস্যদের আগেই বাড়ি পাঠিয়ে দিচ্ছি। তাদের গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরে। ২৮ রমজানে তার ছুটি হলে পড়ে বাড়ি যাবেন।
ঈদ যাত্রীদের সহজে প্রবেশের জন্য ও টিকেট ছাড়া যাত্রী প্রবেশ রোধে স্টেশনের প্রধান ফটকে বাশঁ দিয়ে সাড়ি বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, স্টেশনের প্রবেশমুখে দুইজন ট্রাভেলিং টিকিট এক্সামিনারা (টিটিই) ও আনসার সদস্যদের অবস্থান রয়েছে। তারা যাত্রীদের টিকেট চেক করে ভেতরে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন। ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে যাত্রীদের টিকেট স্ক্যান করে দেখা হচ্ছে টিকেটটি আসল কি নকল। যদি নকল পাওয়া যায় তবে ওই যাত্রীকে আটকে রাখা হচ্ছে। টিকিটের সমাধান হলেই পড়ে তাদের ছাড়া হচ্ছে। এদিকে স্টেশনের প্রবেশদারে রয়েছে যাত্রীদের ভিড়।
ধীরে ধীরে বিমানবন্দর রেলস্টেশনে বাড়ছে যাত্রীদের ভিড়। সবাই ব্যাগ নিয়ে অপেক্ষা করছেন নিজ নিজ গন্তব্যে যাওয়ার জন্য।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩১ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০২৪
এসজেএ/জেএইচ