মাদারীপুর: ঈদের বাকী আর মাত্র কয়েকদিন। শেষ সময়ে মাদারীপুরের বিভিন্ন স্থানে পোশাক-জুতা ও কসমেটিকসের দোকানে বেড়েছে ক্রেতাদের ভিড়।
তবে বিক্রেতারা জানিয়েছেন, গত বছরের তুলনায় চলতি বছর বিক্রি অনেক কম!।
এরপরও পরিবারের সদস্যদের জন্য নতুন পোশাক কিনতে ভিড় বেড়েছে জেলার বিভিন্ন মার্কেটে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জুতা-স্যান্ডেলের দাম তুলনামূলক বেশি। তাই শহরাঞ্চলের দোকানগুলোর চেয়ে গ্রামের বিভিন্ন বাজারের পোশাকের দোকানে দাম তুলনামূলক কম থাকায় গ্রামের সাধারণ মানুষ গ্রামীণ বাজারের দোকানগুলোতে বেশি ভিড় করছেন। কিনছেন পছন্দের পোশাক।
সরেজমিনে জেলার শিবচর উপজেলার পৌর এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানের মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, তৈরি পোশাক, জুতা-স্যান্ডেল এবং কসমেটিকসের দোকানে ক্রেতাদের ভিড় রয়েছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরে ঘুরে পছন্দের পোশাক কিনছেন। জামা-কাপড় কেনা শেষে ভিড় করছেন জুতার দোকানে। এছাড়া কসমেটিকসের দোকানে নারীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।
এ বছর মেয়েদের পোশাকের মধ্যে আলিয়া কার্ট/গাউন, পদ্মজা, সারারা, গারারাসহ বাহারি নামের ড্রেস বেশি বিক্রি হচ্ছে বলে বিক্রেতারা জানান। এছাড়া শাড়ি, ইন্ডিয়ান, পাকিস্তানি থ্রি পিচ বেশি বিক্রি হচ্ছে। বাচ্চাদের সুতির জামা-কাপড়ও বেশি চলছে বলে জানান বিক্রেতারা।
পোশাক কিনতে আসা শ্রাবণী আক্তার নামের এক কলেজছাত্রী বলেন, আলিয়া কাট গাউন কিনেছি ঈদের জন্য। পাঁচ হাজার টাকা দাম নিয়েছে। তবে দোকানিরা তিনগুণ দাম বেশি চায়!।
শিবচর ৭১ সড়কের পারপেল, ইয়েস পয়েন্টসহ বিভিন্ন পোশাকের দোকানের বিক্রয়কর্মীরা জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর বিক্রি কম। আমাদের পোশাকের দাম তুলনামূলক ভাবে বাড়েনি।
এদিকে পৌরসভার খলিফা পট্টি, পৌর মার্কেটসহ বিভিন্ন মার্কেটের দোকানে ক্রেতাদের ভিড় দেখে গেছে। বিশেষ করে দামাদামি করে কিনতে অভ্যস্তরা ‘একদর’ এর দোকান এড়িয়ে যান বলে অনেক ক্রেতারা জানান।
ঈদে নতুন জামা-কাপড় কিনতে সকল বয়সীদের মধ্যেই থাকে আগ্রহ। ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে পরিবারের সদস্যদের হাতে নতুন পোশাক তুলে দিতে ব্যস্ত সময় কাটান। তবে দাম বেশি থাকায় স্বল্প আয়ের মানুষকে পরতে হয় বিপাকে। অপেক্ষাকৃত কম দামে কিনতে গ্রামের বিভিন্ন বাজারের দোকানগুলোতে ছুটে যান তারা। আর তাই, চলতি বছর গ্রাম পর্যায়ের দোকানগুলোতেও দেখা গেছে ক্রেতাদের ভিড়!
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০২৪
এসএম