চাঁদপুর: সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরীফসহ জেলার প্রায় ৪০ গ্রামে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন হচ্ছে।
বুধবার (১০ এপ্রিল) দরবার শরীফের অনুসারীরা নামাজ আদায়ের মাধ্যমে এসব গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপন শুরু করে।
হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরীফ জামে মসজিদে সকাল ৯টায় ঈদের নামাজের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে ইমামতি করেন পীরজাদা ড. বাকীবিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী। একই সময়ে সমেশপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল সাড়ে ৯টায় সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল মাদরাসা ঈদগাহ ময়দানে ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এই নামাজের জামাতে ইমামতি করেন সাদ্রা দরবার শরীফের পীর শাইখ আরীফ চৌধুরী।
এই ঈদের নামাজের জামাতে মরহুম পীরের অনুসারী বহু উলামায়ে কেরাম অংশগ্রহণ করেন। নামাজের আগে কোরআন ও হাদিসের বর্ণনা করেন পীর শাইখ আরীফ চৌধুরী। নামাজ শেষে মুসল্লিরা একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করেন।
এই ঈদগাহে নামাজ পড়তে আসা আব্দুল হামিদ (৯৫) বলেন, আমি জন্মের পর থেকে সাদ্রা দরবার শরীফে ঈদের নামাজ আদায় করছি। আমরা চাঁদ দেখে রোজা রাখি, আবার চাঁদ দেখে ঈদের নামাজ আদায় করি। এভাবেই আদায় করা উচিত বলে আমি মনে করি।
সকাল সাড়ে ৯টায় ফরিদগঞ্জের টোরা মুন্সিরহাট জামে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন মাওলানা আকরাম হোসেন।
পীরজাদা ড. বাকীবিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী বলেন, শুধুমাত্র সৌদি আরব নয়, কোরআন ও হাদিসের আলোকে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে আমরা রোজা পালন ও ঈদুল ফিতর উদযাপন করে থাকি। আগাম রোজা ও দুই ঈদ পালনের প্রবর্তক মাওলানা ইসহাক (রহ.)। ১৯২৮ সাল থেকে তিনি সৌদি আরবসহ আরব দেশসমূহের সঙ্গে মিল রেখে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপনের নিয়ম চালু করেন।
যেসব গ্রামে ঈদুল ফিতুল উদযাপন হচ্ছে:
হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা, সমেশপুর, অলিপুর, বলাখাল, মনিহার, প্রতাপুর, বাসারা। ফরিদগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপুর, কামতা, গল্লাক, ভুলাচোঁ, সোনাচোঁ, উভারামপুর, উটতলি, মুন্সিরহাট, কাইতাড়া, মূলপাড়া, বদরপুর, আইটপাড়া, সুরঙ্গচাইল, বালিথুবা, পাইকপাড়া, নূরপুর, সাচনমেঘ, শোল্লা, হাঁসা, গোবিন্দপুর। মতলব উপজেলার দশানী, মোহনপুর, পাঁচানী এবং কচুয়া ও শাহরাস্তি উপজেলার কয়েকটি গ্রাম।
বাংলাদেশ সময়: ১২২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২৪
আরএ