ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ মে ২০২৪, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

রাজশাহীতে ঈদের জামাতে মুসলিম উম্মাহর সুখ সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২৪
রাজশাহীতে ঈদের জামাতে মুসলিম উম্মাহর সুখ সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা

রাজশাহী: উত্তরের বিভাগীয় শহর রাজশাহীতে হযরত শাহ মখদুম (রহঃ) কেন্দ্রীয় ঈদগাহে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের প্রধান জামাত বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজশাহীর বিশাল এই ঈদ জামাতে ইমামতি করেছেন মহানগরীর দারুল উশাহা মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতি ওমর ফারুক।

সেখানে আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলির সদস্য রাজশাহী সিট মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর, জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাসহ মুসল্লিরা ঈদুল ফিতরের দুই রাকাআত ওয়াজিব নামাজ আদায় করেন।

এর আগে সকাল ৭টায় রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) ঈদের প্রথম জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়। সকাল সাড়ে ৭টায় টিকাপাড়ায় থাকা মহানগর ঈদগাহে ঈদের দ্বিতীয় প্রধান জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়।

এছাড়া সকাল ৮টায় সাহেববাজার বড় মসজিদের সামনের প্রধান সড়কে ঈদুল ফিতরের তৃতীয় বিশাল জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়।

নামাজ শেষে ঈদ জামাতে আসা মুসল্লিরা কোলাকুলি করেন। এ সময় তারা পরস্পর ঈদের শুভেচ্ছা ও কুশল বিনিময় করেন। এছাড়া রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় এবার প্রায় ৫০টি এবং ৯ উপজেলায় আরও প্রায় ৩৫০টি ঈদগাহে পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যেই এসব এলাকায় ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রাজশাহীর হযরত শাহ মখদুম (রহঃ) কেন্দ্রীয় ঈদগাহে অনুষ্ঠিত ঈদের প্রধান জামাত শেষে দেশ, জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ-শান্তি, অগ্রগতি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এসময় দেশ ও জাতির স্বার্থে সবার মধ্যে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি রক্ষার ডাক দেওয়া হয়। আহ্বান জানানো হয় জঙ্গি এবং সন্ত্রাসবাদ পরিহারের। এছড়া নির্যাতিত ও নিপীড়িত ফিলিস্তিনের ওপর রহমত ও শান্তি বর্ষণের জন্য আল্লাহর কাছে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।

এদিন সকালে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মহান আল্লাহর দরবারে প্রয়াত পিতা-মাতা ও স্বজনদের রুহের মাগফেরাত কামনার জন্য মহানগরীর বিভিন্ন গোরস্থানে যান এবং কবর জিয়ারত করেন।

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মো. জামিরুল ইসলাম জানান, ঈদের জামাতকে ঘিরে এবার কঠোর নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। কাউকে জায়নামাজ ছাড়া কোনো ব্যাগ, ভারি বস্তু বা অন্য কোনো দ্রব্যাদি বহন করতে দেওয়া হয়নি। এছাড়া ঈদুল ফিতরের নামাজকে ঘিরে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছিল। সেই সঙ্গে ঈদগাহ ও মসজিদগুলোর আশপাশের এলাকায় সকাল থেকেই পুলিশি টহল বাড়ানো হয়। কিন্তু যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়েই শেষ পর্যন্ত ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোথাও থেকে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। আজ রাজশাহী মহানগর এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই ঈদ উদযাপন শুরু হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১০৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২৪
এসএস/এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।