লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনায় চার দিন পর আহত ছাত্রলীগ নেতা এম সজীব (২৫) মারা গেছেন।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাত ২টার দিকে রাজধানীর পপুলার হাসপাতালে মারা যান তিনি।
এর আগে গত ১২ এপ্রিল রাত ২টার দিকে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পাঁচপাড়া গ্রামে অতর্কিত হামলায় সজীবসহ চারজন আহত হন।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক সজীবের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সজীব চন্দ্রগঞ্জের পাঁচপাড়া গ্রামের মৃত সিরাজ মিয়ার ছেলে। তিনি চন্দ্রগঞ্জ কফিল উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী ছিলেন।
এদিকে হামলার ঘটনার সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে সজিবের মা বুলি বেগম বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক কাজী মামুনুর রশিদ বাবলু ও সদস্য সচিব তাজুল ইসলাম তাজু ভূঁইয়াসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছে। এতে ১৮ থেকে ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। এ ঘটনা সোমবার চন্দ্রগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা তাজু ভূঁইয়াসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে মঙ্গলবার দুপুরে তাদেরকে লক্ষ্মীপুর আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রাতে চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন পাঁচপাড়া গ্রামের যৈদের পুকুরপাড় এলাকায় ছাত্রলীগ কর্মী সজীব, সাইফুল পাটোয়ারী, মো. রাফি ও সাইফুল ইসলাম জয়ের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় অভিযুক্তরা। একপর্যায়ে সজীবকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এ সময় তাকে বাঁচাতে এলে অন্যদের ওপরও গুলি চালানো হয়। পরে আহত অবস্থায় চারজনকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সজীব, সাইফুল ও রাফিকে ঢাকায় প্রেরণ করেন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক বাংলানিউজকে বলেন, চিকিৎসাধীন অবস্থায় সজীবের মৃত্যু হয়েছে। তার মায়ের দায়ের করা মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে গণ্য হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০২৪
এসএম