ঢাকা: জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও রাজস্ব আয় বাড়ানোর জন্য আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে সিগারেটসহ সব তামাকজাত পণ্যে সুনির্দিষ্ট করারোপের মাধ্যমে দাম বাড়ানোর দাবি জানিয়ে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খানের কাছে ২৫ জন সংসদ সদস্য সুপারিশ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) অর্থ প্রতিমন্ত্রীর কার্যালয়ে ২৫ জন সংসদ সদস্যের স্বাক্ষরিত অফিসিয়াল সুপারিশপত্র (ডিও লেটার) দিয়েছেন বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিংয়ের সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম।
চিঠিতে বলা হয়, তামাক ব্যবহার নিরুৎসাহিত করার জন্য কর বাড়ানোর মাধ্যমে তামাকপণ্যের দাম বাড়িয়ে তামাকপণ্যের ব্যবহার কমানো আন্তর্জাতিকভাবে অনুসরণ করা একটি পদ্ধতি। কিন্তু দেশের বিদ্যমান তামাক কর ব্যবস্থা প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ’ অর্জনে আশানুরূপ সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারছে না। তামাক ব্যবহারের কারণে দেশে প্রতিবছর এক লাখ ৬১ হাজারের অধিক মানুষ মৃত্যুবরণ করে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তামাক ব্যবহারের অর্থনৈতিক ক্ষতির (চিকিৎসা ব্যয় এবং উৎপাদনশীলতা হারানো) পরিমাণ ছিল ৩০ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা।
তামাকের নেতিবাচক প্রভাব থেকে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে তামাক-কর ও দাম বাড়ানোর দাবি জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বরাবর সুপারিশ করেছেন ২৫ জন সংসদ সদস্য। এ বিষয়ে আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অর্থ প্রতিমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করা হয়।
সুপারিশপত্রে যাদের স্বাক্ষর আছে অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ, ডা. সামিল উদ্দিন আহম্মেদ শিমুল, ফেরদৌস আহমেদ, বিপ্লব হাসান, ডা. মো. হামিদুল হক খন্দকার, ডা. মো. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী, ডা. আবু সালেহ মোহাম্মদ নাজমুল হক, অ্যারোমা দত্ত, রুনু রেজা, ফরিদা আক্তার বানু, দ্রৌপদী দেবী আগারওয়াল, কানন আরা বেগম, মোসা. ফারজানা সুমি, সাবেরা বেগম, পারুল আক্তার, কোহেলী কুদ্দুস, অনিমা মুক্তি গোমেজ, জ্বরতী তঞ্চঙ্গ্যা, দিলোয়ারা ইউসুফ, শামীমা হারুন, রুমা চক্রবর্তী, খালেদা বাহার বিউটি, নাদিয়া বিনতে আমিন, নাজনীন নাহার রশীদ এবং ঝর্ণা হাসানের।
২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে তামাক ব্যবহারজনিত অসুস্থতায় যে চিকিৎসার ব্যয় হয়েছে তা তামাক খাত থেকে আসা রাজস্বের চেয়ে অন্তত ৩৪ শতাংশ বেশি। ওই বছর তামাক ব্যবহারজনিত কারণে এক লাখ ৬১ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে। এই বিপুল মৃত্যু, আর্থিক ও স্বাস্থ্যগত ক্ষতি চাইলেই এড়ানো সম্ভব। এজন্য চাই তামাকবিরোধী শক্তিশালী আইন ও তামাকজাতপণ্যের ওপর কার্যকর করারোপ। তাই আসন্ন অর্থবছরের বাজেটে তামাকজাত পণ্যের সুনির্দিষ্ট করারোপের মাধ্যমে তামাক পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিংয়ের সাচিবিক দায়িত্ব পালন করে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২৪
এমএমআই/এসআইএ