ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নিয়মিত বসে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ পশুর হাট

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২৪
নিয়মিত বসে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ পশুর হাট এই ঝুঁকিপূর্ণ পশুর হাটের পাশ দিয়ে বসে গেছে রেললাইন। ছবি: বাংলানিউজ

মৌলভীবাজার: বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলীয় রেলপথের গুরুত্বপূর্ণ রুট সিলেট—আখাউড়া রেল সেকশন। এরই আওতাধীন মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার জনপদ শমশেরনগর বাজারে রেলপথ।

এখানে অবৈধভাবে নিয়মিত বসে পশুর হাট। প্রতি বছর লাখ লাখ টাকা বাজার ইজারা হলেও পশুর হাটের নির্দিষ্ট কোনো জায়গা নেই।

প্রতি রোববার ও বুধবার অবৈধভাবে রেলপথ ঘেঁষে পশুরহাট বসলেও দেখার যেন কেউ নেই। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের আপত্তি সত্ত্বেও নিয়মিত বসছে পশুর হাট। ফলে যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।

জানা গেছে, আপত্তি উপেক্ষা করে কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর রেলস্টেশনে দক্ষিণ পাশে লাল গুদামের সাথেই পশুর হাট পরিচালনা করছেন বাজার ইজারাদার। রেললাইনের সাথে রেলের লাইন দিয়ে বেড়া বসিয়ে অবৈধভাবে সপ্তাহে রোববার ও বুধবার পশুর হাট বসছে। স্টেশন এলাকার বাউন্ডারি ও সীমানা প্রাচীর না থাকায় বাজারে কেনা-বেচার জন্য নিয়ে পশু এদিক ওদিক ছোটাছুটি করছে। পশুর হাট বসানোর কারণে রেললাইনের পাথরও ছিটকে যাচ্ছে। এতে ট্রেন চলাচলেও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে।

বাজার ইজারাদার কোনোকিছু তোয়াক্কা না করেই নিজের ইচ্ছেমতো পশুর হাট পরিচালনা করছেন। রেললাইনের পাশে এই স্থান দিয়ে পথচারীসহ স্থানীয়দের যাতায়াতের রাস্তাও। পশুর হাট বসার কারণে যাতায়াতেও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। রেলপথের নিরাপত্তার স্বার্থে পশুর হাট না বসানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে বাংলাদেশ রেলওয়ের ঢাকাস্থ বিভাগীয় প্রকৌশলী—২ কে গত বছরের ২৩ মে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন শ্রীমঙ্গলের ঊর্ধ্বতন উপ—সহকারী প্রকৌশলী (পথ)।

এবছর ৮৩ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যে এক বছরের জন্য শমশেরনগর পশুর হাটসহ বাজার ইজারা নিয়েছেন কয়েছ মিয়া। এরপরও পশুর হাটের নির্দিষ্ট কোনো জায়গা না থাকায় ক্রেতা—বিক্রেতাসহ সবাইকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

বিক্রেতা রফিক মিয়া, মানিক মিয়া বলেন, রেললাইনের পাশে গরু—ছাগল নিয়ে আসা এলেও ঝুঁকিপূর্ণ। যেহেতু বাজার ইজারা হচ্ছে এবং সরকারও বিপুল পরিমাণ রাজস্ব পাচ্ছে সেহেতু পশুর হাটের নির্দিষ্ট ও নিরাপদ জায়গা বের করা প্রয়োজন। এখানে পশুর হাটের মতো কোনো স্থান নেই। একদিকে রেললাইন অপরদিকে ময়লা—আবর্জনাস্থল।

শমশেরনগর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার জামাল হোসেন বলেন, ইজারাদারকে বার বার আপত্তি দেওয়া সত্ত্বেও জোরপূর্বক রেললাইনের পাশেই পশুর হাট বসানো হয়। এতে ঝুঁকি বেড়ে উঠছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। চিঠি দিয়ে আপত্তি জানানো হয়েছে।

অভিযোগ বিষয়ে শমশেরনগর বাজার ইজারাদার কয়েছ মিয়া বলেন, এখানে পশুর হাট বসে, সেটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানেন। পশুর হাটের নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় এখানে দীর্ঘদিন ধরেই হাট বসছে। এতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।

কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জয়নাল আবেদীন বলেন, বিষয়টি পুরোপুরি আমার জানা নেই। তবে রেললাইনের পাশে পশুর হাট বসানোর বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২৪
বিবিবি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।