চাঁদপুর: বিয়ের জন্য বার বার বাবা-মাকে বলার পরও না দেওয়ায় মা রানু বেগমকে (৫৭) গলা কেটে হত্যা করেছে ছেলে মো. রাসেল (২২)। এরপর ঘরে থেকে মোবাইলফোনে মায়ের হত্যার ঘটনা বাবা আতর খানকে জানান তিনি।
ঘাতক ছেলে রাসেলের বরাত দিয়ে শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে চাঁদপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুদীপ্ত রায়।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়নের ইছাপুরা গ্রামের খান বাড়িতে। হত্যার শিকার রানু ওই বাড়ির আতর খানের স্ত্রী এবং ঘাতক রাসেলের মা।
হত্যার ঘটনার মাত্র ৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ফরিদগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইসমাইল হোসেনসহ চৌকস দল রাসেলকে পৌর এলাকার কেরোয়া গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে। রাসেলের দেওয়া তথ্যে পুলিশ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কাঁচি ও রক্তমাখা লুঙ্গি ও শার্ট উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় শনিবার ছেলেকে হত্যা মামলার আসামি করে ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন বাবা আতর খান।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, রাসেল তিন মাস ধরে উশৃঙ্খল চলাফেরা করতেন। তার পিতা-মাতা নিষেধ করলেও রাসেল তাদের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং মারধর করেন। বিষয়টি তার বাবা আতর খান স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হোসেন আহমেদ রাজনকে অবগত করলে আসামি তার বাবা-মাকে প্রাণে হত্যা করবেন বলে ভয়-ভীতি দিয়ে আসছিলেন। গত ২৬ এপ্রিল ভোর ৫টার দিকে রাসেলের বাবা আতর খান কাজের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর মাকে ঘরে একা পেয়ে রাসেল এ হত্যাকাণ্ড ঘটান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল হক চৌধুরী, ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুল ইসলামসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা।
বিকেলে আসামি রাসেলকে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ চাঁদপুর আদালতে সোপর্দ করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০২৪
এসআরএস