বান্দরবান: বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সেনাবাহিনীর অভিযানে সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) দুই সদস্য নিহত হয়েছেন। এসময় বিপুল আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করা হয়েছে।
রোববার (২৮ এপ্রিল) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, রুমার দুর্গম বাকলাই পাড়া এলাকায় সেনাবাহিনীর অভিযানে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) দুইজন সশস্ত্র সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। এ সময় তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র, বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ, ওয়াকি-টকি ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়েছে
এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেল থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত ওই এলাকায় প্রচণ্ড গোলাগুলি শব্দ শোনা গিয়েছিল। পরে সকালে গুলিবিদ্ধ দুটি মরদেহ জঙ্গলে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। এরপর পুলিশ মরদেহ দুটি নিয়ে যায়।
থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসীম উদ্দীন জানান, ঘটনাস্থল রুমা উপজেলায় হলেও থানচি উপজেলার সীমান্তবর্তী এবং নিকটবর্তী এলাকার। সেখানে থানচি থানার পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান কাজেমী জানান, দুই কেএনএফ সদস্যের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। যেহেতু যৌথবাহিনীর অভিযান চলমান সেহেতু বিস্তরিত জানাবে আইএসপিআর।
সম্প্রতি পাহাড়ে সশস্ত্র গোষ্ঠী কেএনএফ উদ্বেগজনক তৎপরতা শুরু করেছে। গত ২ এপ্রিল রাতে তারাবি নামাজের সময় বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংক ও আশপাশের এলাকা ঘিরে ফেলে শতাধিক সশস্ত্র দুর্বৃত্ত। মসজিদ থেকে ব্যাংক ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে ধরে নিয়ে ব্যাংকের ভেতরে মারধর করে তারা। পরে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। যদিও ৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় নেজাম উদ্দিনকে উদ্ধার করে র্যাব-১৫।
এরপর থেকেই পার্বত্য অঞ্চলে অভিযান শুরু করে যৌথবাহিনী। অভিযানের মধ্যে গত ৭ এপ্রিল কেএনএফের অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক চেওশিম বমকে বান্দরবানের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করার তথ্য জানায় র্যাব।
বাংলাদেশ সময়: ১২২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০২৪
এসএএইচ