গাইবান্ধা: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে গভীর রাতে অন্যের স্ত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়ে গণপিটুনির শিকার হয়েছেন গোলাম রব্বানী বকুল (৫০) নামে এক প্রধান শিক্ষক।
বকুল বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের তালুক ফলগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
তিনি ওই ইউনিয়নের আরাজি দহবন্দ গ্রামের নিয়ামতুল্লাহ সরকারের ছেলে ও দহবন্দ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম কবির মুকুলের বড়ভাই।
রোববার (১২ মে) দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের হুড়াভায়া খাঁ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের হুড়াভায়া খাঁ গ্রামের মোস্তাফিজার রহমানের স্ত্রী আলেমা বেগমের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক গোলাম রব্বানী বকুলের পরকীয়া সম্পর্ক চলছিল। প্রায় রাতেই তিনি ওই নারীর বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন।
এরই ধারাবাহিকতায় রোববার রাতে ওই নারীর সঙ্গে তার বাড়িতে দেখা করতে যান বকুল। ওই সময় তাদের অন্তরঙ্গ অবস্থায় ধরে ফেলেন ওই নারীর ছেলে। পরে প্রতিবেশীরা এসে তাকে বাড়ির পাশে একটি সুপারি গাছে রশি দিয়ে বেঁধে রাখেন।
পরে অভিযুক্ত শিক্ষক বকুলের ছোটভাই সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম কবির মুকুল ও সাবেক ইউপি সদস্য রেজাউল করিম ফুলবাবুসহ তার কয়েকজন আত্মীয় এসে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যান।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক গোলাম রব্বানী বকুল ও তার ছোটভাই সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম কবির মুকুলের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তারা কেউ ফোন রিসিভ করেননি।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. আশিকুর রহমান বলেন, 'অভিযুক্ত ব্যক্তি আমার ক্লাস্টারের আওতাভুক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। অভিযোগ খতিয়ে দেখে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। '
দহবন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রেজাউল আলম সরকার রেজা বলেন, বিষয়টি রাতেই অবগত হয়েছি। এক নারীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়ায় শিক্ষক বকুলকে স্থানীয়রা গণপিটুনি দিয়েছে।
সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুব আলম বলেন, বিষয়টি শুনেছি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩২ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২৪
আরএ