ঢাকা, শনিবার, ৮ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ জুন ২০২৪, ১৪ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

চা-বিক্রেতাকে মারধর, ভূমি কর্মকর্তার নামে থানায় অভিযোগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪৭ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২৪
চা-বিক্রেতাকে মারধর, ভূমি কর্মকর্তার নামে থানায় অভিযোগ

গাজীপুর: ওমেদারকে মারধর করায় গাজীপুর সদর উপজেলার ভাওয়াল মির্জাপুর ভূমি অফিসের উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আবদুল জাব্বারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ মে) সকালে এ ঘটনাটি ঘটেছে।

এলাকাবাসী জানান, গাজীপুর সদর উপজেলার ভাওয়াল মির্জাপুর ভূমি অফিসের পাশে চা বিক্রি করেন সেলিম মিয়া। এছাড়া সেলিম মিয়া আরো কয়েকজন ওমেদারের সঙ্গে মিলে ভূমি অফিসের নামজারির দালালি করেন। ভূমি কর্মকর্তা আব্দুল আলীমের গুরুত্বপূর্ণ গোপন কাজগুলো তিনিই করে থাকেন। সেলিমের মাধ্যমে তিনি টাকা পয়সা লেনদেনও করেন। বৃহস্পতিবার একটি ব্যাগ হাতে নিয়ে ভূমি অফিসে প্রবেশের সময় সেলিমের কাছে থাকা ব্যাগে বেশ কিছু নথি ও কাগজপত্র দেখতে পেয়ে উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আবদুল জাব্বার তাকে আটক করেন। জানতে চাইলে ওমেদার সেলিম মিয়া জানায়, এগুলো ভূমি কর্মকর্তা আব্দুল আলীম তাকে দিয়েছেন।  এসময় অফিসের গুরুত্বপূর্ণ ফাইল পাওয়ায় সেলিমকে উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আবদুল জাব্বার মারধর করে অফিস থেকে বের করে দেন। মারধরের অভিযোগে ওমেদার সেলিম মিয়া বাদী হয়ে ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা আবদুল জাব্বারের বিরুদ্ধে জয়দেবপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

সেলিম মিয়া অভিযোগে উল্লেখ করেন, আমি মির্জাপুর বাজারে চা বিক্রি করে আমার পরিবারের জীবিকা নির্বাহ করি। আমার দোকানটি ভূমি অফিসের সঙ্গে হওয়ায় ভূমি অফিসের কর্মকর্তাদের চা বিক্রিসহ স্যারদের কাজে সহযোগিতা করে থাকি। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভূমি অফিসের নায়েব স্যার (আব্দুল আলীম) আমাকে বাইরে থেকে কিছু কাগজ এনে দিতে বলেন। পরে কাগজগুলো স্যারের কাছে নিয়ে যাওয়ার সময় ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা আবদুল জাব্বার স্যার এসব কাগজের বিষয়ে জানতে চান। আমি লেখাপড়া জানি না। তাই এগুলো কীসের কাগজ বলতে পারি নাই। তাই আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে বেধড়ক পেটান তিনি।

ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা আবদুল জাব্বার বলেন, ভূমি অফিসে কোনো ওমেদার  প্রবেশ না করতে নির্দেশনা রয়েছে। তারপরও তিনি অফিসের গুরুত্বপূর্ণ ফাইল বাইরে নিয়ে যাচ্ছিলেন। কেন নিয়ে যাচ্ছিলেন জানতে চাইলে সেলিম  ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। সেলিম মিয়াকে কেন নথি দিয়েছে সেটি তিনি ভালো বলতে পারবেন।

মির্জাপুর ভূমি অফিসের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আবদুল আলীম বলেন, আমি তাকে বাইরে থেকে কয়েকটি স্টাম্প এনে দিতে বলেছিলাম। সরকারি কোনো কাগজপত্র তার হাতে দেওয়া হয়নি।  

জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইব্রাহিম  খলিল জানান, এ ঘটনায় আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২২৩৬ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২৪
আরএস/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।