ফরিদপুর: গ্রীষ্মের তীব্র তাপদাহে হাঁসফাঁস করছে মানুষ। নেই বৃষ্টির দেখা।
স্থানীয় বিদ্যুৎ গ্রাহকদের অভিযোগ প্রতিদিন সাত থেকে আট বার করে বিদ্যুৎ যাওয়া-আসা করে। এতে বিপাকে পড়েছেন শিশু, বয়োজ্যেষ্ঠ ও শিক্ষার্থীরা। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষক, পোলট্রি ব্যবসায়ী, মৎস্যচাষি, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, ভ্যানচালকসহ ছোট ও মাঝারি সাইজের কারখানার মালিকরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ছোটবড় কারখানার উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে। গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েছে শিশুরা। ঘেমে জ্বর-কাশিসহ ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন তারা। বাদ যাচ্ছেন না বয়স্করাও। এদিকে লোডশেডিংয়ে ব্যাটারিচালিত ভ্যান ও অটোচালকরা পড়েছেন আরও বেশি ভোগান্তিতে। বিদ্যুৎ না থাকায় গাড়িতে চার্জ দিতে না পেরে রাস্তায় গাড়ি নিয়ে নামতে পারছেন না চালকেরা। শিক্ষার্থীরা বিদ্যুতের অভাবে ঠিকমতো পড়াশোনাও করতে পাচ্ছে না।
সালথার খোয়াড় গ্রামের কৃষক মিলু মাতুব্বর বলেন, প্রতিদিন সাত থেকে আট বার করে বিদ্যুৎ যাওয়া-আসা করে। গরমের তীব্রতা বেশি থাকায় ঘেমে যাচ্ছি বারবার। এতে করে বয়োবৃদ্ধ ও শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
একই উপজেলার পোল্ট্রি ব্যবসায়ী মো. তারেক বলেন, প্রতিদিন যেভাবে বিদ্যুৎ যাওয়া-আসা করছে এতে পোল্ট্রি ব্যবসায় ধস নামার উপক্রম হয়ে পড়েছে।
স্কুল শিক্ষার্থী স্মৃতি আক্তার বলেন, লোডশেডিংয়ের কারণে ঠিকমতো পড়ালেখা করতে পারছি না। পড়ার টেবিলে বসলেই ঘেমে ভিজে যাচ্ছি।
সালথা উপজেলার বিদ্যুৎ অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মো. রেজাউল করিম বলেন, এ উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৪৫ হাজার। এখানে তেমন বিদ্যুৎ ঘাটতি নেই। তবে, সাব-স্টেশন ওভার লোডের কারণে কিছুটা লোডশেডিং দিতে হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, গট্টি এলাকায় বিদ্যুৎ অফিসের আরেকটি নতুন সাব-স্টেশন নির্মাণ করা হবে। এটি চালু হলে লোডশেডিংয়ের দুর্ভোগ আর পোহাতে হবে না উপজেলাবাসীকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৮ ঘণ্টা মে ২৫, ২০২৪
এসএম