ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বিদ্যুৎহীন বরিশাল, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত-ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০১ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০২৪
বিদ্যুৎহীন বরিশাল, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত-ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি

বরিশাল: প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমাল পটুয়াখালীর উপকূলে আঘাত হানার পর মধ্যরাত থেকে বরিশালজুড়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে। দমকা হাওয়ায় গাছপালা উপড়ে পড়াসহ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এখনও।

পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড়ের কারণে নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে নিম্নাঞ্চলসহ নদী তীরবর্তী এলাকা পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া মুষলধারে বৃষ্টির কারণে বরিশাল নগরের বিভিন্ন রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী সোমবার (২৭ মে) দুপুর ২টা পর্যন্ত বরিশালে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে, সেইসাথে দমকা হাওয়া বইছে। আর ঝড়ের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ার পর গতকাল রাত ২টার পর থেকে বরিশাল শহর বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছে। সেইসাথে সকাল সাড়ে ৯টার পর থেকে বিভিন্ন এলাকায় মোবাইল কোম্পানির নেটওয়ার্কে বিপর্যয়ও দেখা দিয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষ একে অপরের সঙ্গে অনেকেটাই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

দুপুর সোয়া ২টায় বরিশাল নগরের বাসিন্দা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ঝড় শুরু হওয়ার পর রাত ২টা ১০ মিনিটের দিকে বিদ্যুৎ যায়। এরপর সকাল ১০টার মধ্যে কয়েক মিনিটের জন্য দুইবার বিদ্যুতের দেখা মিলেছে। তারপর থেকে আবারও বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে আছে বরিশাল নগর।  

তিনি বলেন, বিদ্যুতের কারণে সকাল থেকে ট্যাংকিতে পানি ওঠাতে পারিনি, তাই দৈনন্দিন কাজ সবকিছু ব্যাহত হচ্ছে। আর এখন তো মোবাইলের নেটওয়ার্কও নেই। ফল গ্রামের বাড়িতে থাকা স্বজনদের খোঁজও নিতে পারছি না।

বরিশাল আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক মাসুদ রানা রুবেল জানিয়েছেন ভারী বৃষ্টিপাতের মধ্য দিয়েই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কেটে যাবে।

তিনি জানান, গতকাল রাতেই বরিশাল স্থলভাগে ঢুকে পড়ে ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রভাগ। তখন বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৭৮ কিলোমিটার। সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ৫৯ দশমিক ১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় টানা ও ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, বিভাগের সবগুলো নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে প্রবাহিত হচ্ছে। নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।

বরিশাল সদর উপজেলার চন্দ্রমোহন ইউনিয়নের বাসিন্দা সুমন ব্যাপারী বলেন, আমাদের বাড়িঘর সব তলিয়ে গেছে। বৃষ্টি আর বাতাসে ঘর, গাছপালা ভেঙে তছনছ হয়ে গেছে।

বরিশালের জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন সবাইকে সাথে নিয়ে কাজ করছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৬ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০২৪
এমএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।