সাতক্ষীরা: ঘূর্ণিঝড় রিমাল দীর্ঘ ছয় ঘণ্টাব্যাপী তাণ্ডব চালিয়ে সাতক্ষীরা উপকূল অতিক্রম করেছে। এ পুরো সময়টাই তীব্র জলোচ্ছ্বাসের সঙ্গে যুদ্ধ করেছে উপকূলের জরাজীর্ণ বেড়িবাঁধ।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, ঘূর্ণিঝড় রিমালে সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-১ ও ২ এর আওতাধীন ৬৭৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে প্রায় ২৩ কিলোমিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গত কয়েক দশকে ঘটে যাওয়া ঘূর্ণিঝড়গুলোর মধ্যে রিমাল অন্যতম। এ ঘূর্ণিঝড় এতো বেশিসময় ধরে উপকূলে তাণ্ডব চালিয়েছে, যা আগে কোনো ঝড়ের ক্ষেত্রে ঘটেনি।
স্থানীয়রা জানান, গত ২৬ মে রাতে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা ধরে ধ্বংসযজ্ঞ চালায় ঘূর্ণিঝড় রিমাল। ফুঁসে ওঠা নদীর গর্জন করা ঢেউ আঁচড়ে পড়ে উপকূল রক্ষা বাঁধে। এতে ক্ষতবিক্ষত হয়েছে সাতক্ষীরার উপকূল রক্ষা বাঁধ। দুর্বল হওয়ার পরও উপকূলীয় এলাকায় সোমবার (২৭ মে) ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাব ছিল লক্ষণীয়। ফাটল-জলোচ্ছ্বাসের কারণে বাঁধের কঙ্কাল দশা সৃষ্টি হয়েছে।
পদ্মাপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জাহানারা খানম বলেন, পদ্মাপুকুর ইউনিয়নের কয়েকটি পয়েন্টে বেড়িবাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। পূর্ব পাতাখালি, পশ্চিম পাতাখালি, কামালকাঠি ও খুটিকাটা এলাকার বাঁধ আগে থেকেই জরাজীর্ণ ছিল। রিমালের তাণ্ডবে কপোতাক্ষ ও খোলপেটুয়া নদীর প্রবল স্রোতে ১০/১২ ফুট চওড়া বাঁধটি ভেঙে এখন মাত্র দেড় থেকে দুই ফুট অবশিষ্ট রয়েছে। এভাবে বাঁচা যায় না। আমরা ত্রাণ চাই না। আমাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হোক।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সালাউদ্দিন বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালে পানি উন্নয়ন বোর্ডে (পাউবো) আমাদের আওতাধীন ৩৮০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে ১০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম জানান, তাদের আওতাধীন ২৯৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে ১২.৮৭ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির তথ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২৪
আরআইএস