ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

দুমকিতে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর ৮ সমর্থকের কারাদণ্ড

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৭ ঘণ্টা, জুন ৩, ২০২৪
দুমকিতে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর ৮ সমর্থকের কারাদণ্ড

পটুয়াখালী: জেলার দুমকিতে নির্বাচনী প্রচারণায় বাঁধা, উত্তেজনা ও গোলযোগ সৃষ্টিসহ কয়েকটি অভিযোগে চেয়ারম্যান প্রার্থী হারুন রশিদ হাওলাদার ও কাওসার আমিন হাওলাদারের আট কর্মী-সমর্থককে সাত দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।  

নির্বাচনী আচরণবিধি বাস্তবায়নে দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউল হাসান রোববার (২ জুন) রাত সাড়ে ১১টায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের প্রত্যেককে এ কারাদণ্ডাদেশ দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সাতানী গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে মো. শহীদুল ইসলাম (২০), বাহেরচর গ্রামের বজলুর রহমান মাঝির ছেলে সোহাগ (২৪), একই গ্রামের ইউসুব সিকদারের ছেলে রাকিব শিকদার (২২), আইয়ুব আলী মোল্লার ছেলে রিয়াজ মোল্লা (২২), দুমকি গ্রামের আবুল কালামের ছেলে সাইদুল হক (২৫), সাতানী গ্রামের হাবিব হাংয়ের ছেলে ইমরান হাওলাদার (২৫), দুমকি গ্রামের আ. লতিফ মৃধার ছেলে হাবিবুর রহমান (খোকন) (৪৩), ঝাটরা গ্রামের মান্নান খানের (কন্ট্রাক্টর) ছেলে সায়েম খান (৩৪)। পরে তাদের সোমবার সকালে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের রূপাশিয়া গ্রামের তালুকদার পাড়ায় জনৈক এসএম ফজলুল হকের অসুস্থ শ্বশুরকে দেখতে যান কাপ পিরিচ মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী কাওসার আমীন হাওলাদার। খবর পেয়ে মোটরসাইকেল মার্কার শতাধিক কর্মী-সমর্থক ওই বাড়ির সামনে অবস্থান নিয়ে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে নানা উসকানি মূলক স্লোগান দেয়। এতে দুই প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা দেখা দেয়। অবস্থা বেগতিক দেখে চেয়ারম্যান প্রার্থী কাওসার আমীন হাওলাদার ওই বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে দুপক্ষের উত্তেজিত কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে হাতাহাতি, ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে।  

এ সময় নির্বাচনী দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউল হাসান ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুপক্ষের অন্তত ১১ জনকে আটক করেন। পরে রাত সাড়ে ১১টায় ইউএনও কার্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচার বসিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় বাঁধা প্রদান, গোলযোগ ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে আটজনের প্রত্যেককে সাত দিনের কারাদণ্ডাদেশ দেন।

এছাড়া অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তিন কিশোর নয়ন গাজী (১৪), শাহাদত মৃধা (১৫) ও জায়েদ মৃধাকে (১৪) মুচলেকায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্তদের তিনজন কাপ পিরিচ ও পাঁচজন মোটরসাইকেল প্রতীকের কর্মী সমর্থক বলে জানা গেছে।

দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মো. সফিউর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৬ ঘণ্টা, জুন ৩, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।