ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

উজানের ঢলে প্লাবিত সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চল, জনদুর্ভোগ

অস্থায়ী সংবাদদাতা | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৪ ঘণ্টা, জুন ৪, ২০২৪
উজানের ঢলে প্লাবিত সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চল, জনদুর্ভোগ

সুনামগঞ্জ: ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় সুনামগঞ্জ জেলার সুরমা, কুশিয়ারা, বৌলাই, রক্তি ও যাদুকাটা সীমান্ত নদী দিয়ে নামছে পাহাড়ি ঢলের পানি। ফলে দ্রুতই ডুবে যাচ্ছে জেলার নিম্নাঞ্চলের রাস্তা-ঘাট।

এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ২ লাখেরও বেশি মানুষ। আর বন্যার শঙ্কায় উৎবেগ আর উৎকণ্ঠায় সময় পার করছেন জেলার ভাটি অঞ্চলের বাসিন্দারা।  

সুরমা নদীর পাড়ের বাসিন্দা শামিম আহমেদ বলেন, গত সোমবার (৩ জুন) সকাল থেকে সুনামগঞ্জে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। সেই সঙ্গে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় নামছে ভারতের পাহাড়ি ঢল। ফলে উৎকণ্ঠায় সময় পার করছি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সুনামগঞ্জের নদ-নদীর পানি কখনও কমছে আবারও কখনও বাড়ছে। তবে মঙ্গলবার (৪ জুন) সকাল থেকে জেলার সুরমা, কুশিয়ারা, বৌলাই, রক্তি ও যাদুকাটা নদী দিয়ে প্রবল বেগে ভাটির দিকে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে যেসব হাওরে পানি প্রবেশ করেনি সেগুলো এখন কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। এতে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন সুনামগঞ্জের ২০ লাখেরও বেশি মানুষ।

আরও জানা গেছে, ঢলের পানিতে জেলার তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, ছাতক ও দোয়ারা বাজারসহ বেশ কয়েকটি উপজেলার নিম্নাঞ্চলের রাস্তা ঘাট তলিয়ে গেছে। দোয়ারাবাজার উপজেলার শরীফপুর গ্রামের প্রধান সড়ক ঢলের পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় দোয়ারাবাজার উপজেলার সঙ্গে সরাসরি সড়ক পথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে সুরমা, লক্ষ্মীপুর, বাংলাবাজারসহ তিন ইউনিয়নের।  

এছাড়া বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার কৈয়ারকান্দা, দুর্গাপুর সড়ক ডুবে যাওয়ায় সুনামগঞ্জ জেলা শহরের সঙ্গে বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর উপজেলার সরাসরি সড়কপথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সে কারণে ছোট নৌকা করে বাড়তি ভাড়া দিয়ে গন্তব্য স্থানে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। সেই সঙ্গে পানির কারণে রাস্তার পাশে আটকে পড়েছে ছোট-বড় প্রায় ৫০টি যানবাহন। এমনকি ঢলের পানিতে নিম্নাঞ্চলের রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় প্রায় ২ লক্ষাধিক মানুষ ভোগান্তিতে পড়ছেন।  

জাকির মিয়া, শরীফ উদ্দিনসহ ভোগান্তিতে পড়া মানুষজন জানান, পাহাড়ি ঢলের পানিতে রাস্তা-ঘাট তলিয়ে যাওয়ার কারণে জেলা শহরে যেতে কষ্ট হচ্ছে। এছাড়া সময় নষ্ট হচ্ছে। বাড়তি ভাড়া গুণতে হচ্ছে, সেই সঙ্গে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।



সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা ঢল অব্যাহত থাকলে সুনামগঞ্জের সব নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করবে। এতে এই জেলায় স্বল্পমেয়াদি একটা বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।  

তিনি আরও বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সুনামগঞ্জের নদ-নদীর পানি ৪ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ২৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০২৪
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।