ঢাকা, বুধবার, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ জুন ২০২৪, ১৮ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

বাবার রহস্যজনক মৃত্যুর পরই ফাঁস দিলেন মেয়ে 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২১ ঘণ্টা, জুন ৬, ২০২৪
বাবার রহস্যজনক মৃত্যুর পরই ফাঁস দিলেন মেয়ে  প্রতীকী ছবি

নোয়াখালী: নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদীর উকিল পাড়ায় বাবার রহস্যজনক মৃত্যুর আধাঘণ্টা পর গলায় ফাঁস দিয়ে মেয়ে ‘আত্মহত্যা’ করেছেন।  

বুধবার (৫ জুন) সকালে সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে নোয়াখালীর পৌরসভার ২নম্বর ওয়ার্ডের উকিল পাড়ার নরেশ চন্দ্র দে ’র বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

    

নিহতরা হলেন -নোয়াখালীর পৌরসভার ২নম্বর ওয়ার্ডের উকিলপাড়ার নরেশ চন্দ্র দে (৫০) ও তার মেয়ে তিশা দে (১৯)।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) দুপুরে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে বাবা ও মেয়ের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, নরেশ চন্দ্রের মেয়ে তিশা ফেনীর একটি কলেজে পড়তেন। পড়ালেখা অবস্থায় পরিবারকে না জানিয়ে বিয়ে করেন তিশা। বিষয়টি জানার পর ফেনী থেকে মাইজদীর নিজ বাড়িতে মেয়েকে নিয়ে আসেন বাবা নরেশ চন্দ্র দে। মঙ্গলবার রাতে স্বামীর সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে মেয়েকে ফিরতে বলেন বাবা। কিন্তু মেয়ে বাবাকে সাফ জানিয়ে দেন, স্বামী তথা এই ছেলের সঙ্গেই সংসার করবেন।  

জানা যায়, পরদিন বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নরেশ চন্দ্রের ছোট ছেলে স্কুলে যাওয়ার সময় টাকার জন্য গেলে দেখে বাবার নিথর দেহ তার কক্ষে পড়ে আছে। আশপাশে রক্ত। ডায়ালাইসিসের ফিস্টুলার স্থান থেকে রক্ত বের হচ্ছে। পরে তার চিৎকার শুনে পরিবারের অন্য সদস্যরা এগিয়ে আসে।

পরে তিশা বাবার এ অবস্থা দেখে আধাঘণ্টা পর পরিবারের সদস্যদের অগোচরে আলাদা একটা কক্ষে গিয়ে দরজা বন্ধ করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দেন। পরে পরিবারের সদস্যরা দরজা ভেঙে তার মরদেহ উদ্ধার করে।  

খবর পেয়ে দুপুর দেড়টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের সুরতহাল সম্পন্ন করে।     

সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি জানান, নরেশ কিডনি রোগী ছিলেন। তিনি বাসায় ডায়ালাইসিস করতেন। মেয়ে মুসলিম ছেলেকে বিয়ে করায় বিষয়টি মানতে পারেননি নরেশ। মেয়েকে বাড়িতে এনে বোঝানোর চেষ্টা করেন। মেয়ে মানেনি। এ নিয়ে চিৎকার-চেঁচামেচিতে স্ট্রোক করে মারা যান নরেশ। পরে বাবার মৃত্যুর আধাঘণ্টা পর মেয়ে আত্মহত্যা করেন।  

ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে বলে জানান ওসি।

বাংলাদেশ সময়: ০১১৫ ঘণ্টা, জুন ০৬,২০২৪
এসএএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।