ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বিপৎসীমার ২৯ সেন্টিমিটার নিচে তিস্তার পানি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৪ ঘণ্টা, জুলাই ৮, ২০২৪
বিপৎসীমার ২৯ সেন্টিমিটার নিচে তিস্তার পানি

লালমনিরহাট: উজানের পাহাড়ি ঢল আর কয়েক দিনের টানা ভারি বৃষ্টিতে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ বেড়ে যায়। তবে তা কমতে শুরু করায় লালমনিরহাটের বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে।

সোমবার (৮ জুলাই) সকাল ৯টা হাতীবান্ধা উপজেলার দোয়ানীতে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫১ দশমিক ৮৬ মিটার। যা বিপদ সীমার (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ মিটার) ২৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্র ও চরবাসী জানান, ভারতে সিকিমে উৎপত্তি স্থল থেকে ভারতে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে তিস্তা নদী। নদীর বাংলাদেশ অংশের উজানে ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণ করে তিস্তা পানি নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। বর্ষাকালে অতিরিক্ত পানি ফারাক্কা গেট খুলে বাংলাদেশ অংশে ছেড়ে দেওয়া হয়। একইভাবে শুষ্ক মৌসুমে গেট বন্ধ করে রাখা হয়।

বর্ষাকাল শুরু হওয়ায় উজানে ভারতে প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ফলে ভারত তাদের অতিরিক্ত পানি বাংলাদেশ অংশে ছেড়ে দিচ্ছে। ফলে উজানের ঢলে তিস্তার পানি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছিল।

তাই বর্ষাকাল শুরু হলে বাংলাদেশের তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে ব্যারাজ কর্তৃপক্ষ। এবারও এর ব্যর্তয় ঘটেনি। টানা বৃষ্টি আর উজানের ঢেউয়ের কারণে পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়ে তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। পানিবন্দি হয়ে পড়ে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের পরিবারগুলো।

তিস্তা ব্যারাজ বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি প্রবাহ টানা তিন দিন ধরে বিপদসীমার ১০/১৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে তা কমতে শুরু করে। সোমবার সকাল ৬টায় ছিল বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার নিচে এবং সকাল ৯টায় আরও কমে গিয়ে তা বিপৎসীমার ২৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

তিস্তা ব্যারাজ পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা উদ দৌলা বলেন, সকাল থেকে তিস্তা নদীর এ পয়েন্টে পানি প্রবাহ কমতে শুরু করেছে। বন্যা পরিস্থিতির বেশ উন্নতি ঘটেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১২৪ ঘণ্টা, জুলাই ৮, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।