পিরোজপুর: জেলার নাজিরপুরে জুতিকা বালা (৫০) নামে এক নারীকে কুপিয়ে হতা করেছেন তারই ছেলে জতিষ বালা (৩২)।
শুক্রবার (১২ জুলাই) রাতে নাজিরপুর থানা পুলিশ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ ঘটনায় ছেলে জতিষ বালাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে তিনি তার মাকে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন।
জানা গেছে, নিহত জুতিকা বালা উপজেলার শ্রীরামকাঠী ইউনিয়নের উত্তর জয়পুর গ্রামের নারায়ণ বালার স্ত্রী। আর হত্যাকারী জতিষ তারই ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) রাত ১২টার দিকে উত্তর জয়পুর গ্রামের তাদের নিজ বাড়িতে।
পুলিশ জানায়, নিহত জুতিকা বালা মানসিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় প্রায় ১০ বছর ধরে নিজ ঘরেই থাকতেন। কারও সঙ্গে কোনো কথা বলতেন না তিনি। ছেলে জতিষ বালার স্ত্রী-সন্তান পৃথকভাবে থাকেন। এ জন্য তিনি পারিবারিক অশান্তি বোধ করে মাকে দায়ী করতেন। আর তাই ক্ষিপ্ত হয়ে দা দিয়ে মাকে একাই হত্যা করেন তিনি। নিহত জুতিকা বালার মুখে, গলা ও হাতেসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ২৬টি কোপের চিহ্ন ছিল। পরে এ ঘটনায় নিহত নারীর স্বামী বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন।
পুলিশ জানান, মাকে হত্যার পর বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ওই ছেলে বিভিন্ন নাটক করে। কিন্তু ডিবি পুলিশসহ গোয়েন্দা পুলিশের বিভিন্ন দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং হত্যা মামলা দায়েরের ৪ ঘণ্টার মধ্যে রহস্য উদ্ঘাটন করে।
নিহত নারীর ছোট ছেলে ক্ষিতিষ বালা জানান, উপজেলার কালিভাড়ি বাজারে থাকা তাদের দোকানের কাজ শেষে বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে তিনি ও তার বাবা বাড়ি যান। বাড়িতে গিয়ে মাকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে বলে জানতে পারেন তারা। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় মাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০২৪
এফআর