ফরিদপুর: ফরিদপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২৯ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফরিদপুর প্রেসক্লাব হলরুমে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একাধিক সমন্বয়কারী সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
আন্দোলন প্রত্যাহারের লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন- জেলার অন্যতম সমন্বয়কারী ও ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ষষ্ঠ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আরমান শিকদার।
প্রেসক্লাবের সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে এ সময় আন্দোলনকারীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সমন্বয়কারী মেহেদী হাসান, ফাহাদ রহমান, রাকিব হোসেন প্রমুখ।
ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কারীরা বলেন, সারা বাংলাদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে সরকারি চাকরিতে কোঠা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করা হয়। আন্দোলনে দেশের অনেকে অপ্রত্যাশিতভাবে আহত ও নিহত হয়েছেন। এছাড়াও রাষ্ট্রীয় সম্পদ মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, সেতু ভবন, বাংলাদেশ টেলিভিশন ভবনসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা ও অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটে। যা কখনোই আমাদের কাম্য নয়। আমরা এই সব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
বক্তারা জানান, এখন সব ধরনের সরকারি চাকরিতে ৯৩ শতাংশ মেধা, পাঁচ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা, এক শতাংশ ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী এবং এক শতাংশ প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য রাখা কোটা রাখা হয়েছে, যা সাধারণ শিক্ষার্থীরা সাদরে গ্রহণ করেছে। এই জন্য সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান তারা।
শিক্ষার্থীরা জানান, আমাদের যৌক্তিক দাবি সরকার পূরণ করায় বৈষম্য কোটা বিরোধী নিয়ে ফরিদপুরের যে সমস্ত ছাত্র আন্দোলন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিলো তা প্রত্যাহার করা হয়। দাবি মেনে নেওয়ায় বাংলাদেশ সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীকে অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।
এছাড়া শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০২৪
এসএম