বান্দরবান: গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে বান্দরবান জেলার সাংগু ও মাতামুহুরী নদীতে পানি বাড়ার কারণে বান্দরবানের নিম্নাঞ্চলের কয়েক শত ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে। বন্যাকবলিত সাধারণ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছে।
এদিকে অতিবৃষ্টি আর বর্ষণের ফলে পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে। তবে প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছে দুর্যোগ মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।
বান্দরবানের সাংগু নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বান্দরবান পৌর এলাকার ইসলামপুর, আর্মিপাড়া, ওয়াপদা ব্রিজ, গোদার পাড়া, কাসেম নগরসহ বেশ কয়েকটি এলাকার ঘরবাড়ি পানিতে ডুবে যাওয়ায় লোকজন নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করছে। পৌর এলাকার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চলে পানি জমে থাকায় দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ জনসাধারণ। হঠাৎ করে অনবরত বৃষ্টি আর পাহাড়ধসের কারণে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
বান্দরবান সদর শহর মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেওয়া ইসলামপুর এলাকার বাসিন্দা মো. জয়নাল জানান, গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে আমাদের ঘর ডুবে গেছে। তাই পরিবার নিয়ে নিরাপদে আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছি।
এদিকে অবিরাম বৃষ্টির ফলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে জেলার বিভিন্ন পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরত জনসাধারণের জীবন। পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের সরে যেতে মাইকিং করে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছে প্রশাসন।
বান্দরবান পৌরসভার মেয়র মো. সামসুল ইসলাম জানান, গত কয়েকদিন ধরে বান্দরবানে অনবরত আর বৃষ্টির কারণে পৌর এলাকার অনেক ঘরবাড়ি পানিতে ডুবে যায়। অনেক পরিবার বর্তমানে আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছে। তাদের পৌরসভা ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, গত তিন ধরে বান্দরবানে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ফলে নিম্নাঞ্চলের কয়েক শত ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে। ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারী ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের আশ্রয়ের জন্য সাত উপজেলায় খোলা হয়েছে ২১৪টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৪ ঘণ্টা, আগস্ট ৩, ২০২৪
এসএম