লালমনিরহাট: শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবর শুনেই বিজয় উল্লাসে রাজপথে নেমে আসে ছাত্রজনতা। এ সময় জেলার এমপি ও আওয়ামী লীগ নেতাদের বাসা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
সোমবার (৫ আগস্ট) দুপুরের পরেই উল্লাসে নেমে পড়ে গোটা জেলার ছাত্রজনতা।
জানা গেছে, শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি তুলে শিক্ষার্থীরা। এ আন্দোলন প্রতিরোধ করতে সরকার কারফিউ জারি করে। সেই কারফিউ উপেক্ষা করে রাজপথে নেমে পড়ে শিক্ষার্থীসহ আমজনতা। অবশেষে দুপুরের পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ত্যাগের খবরে উল্লাস করে ছাত্রজনতা। মিষ্টি বিতরণের হিড়িক পড়ে যায় জেলা জুড়ে। এ সময় গোটা জেলায় বিজয় মিছিল বের করে। বিজয় মিছিল থেকে বিভিন্ন স্থানে গড়ে তোলা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভেঙে ফেলা হয়েছে। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকারের সব সংসদ সদস্য ও নেতাদের বাসাবাড়ি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
লালমনিরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেন, লালমনিরহাট-৩ (সদর) আসনের সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমানের বাসা, যুগ্ম সম্পাদক সাখওয়াত হোসেন সুমন খানের বাসা ও সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, জেলা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি বিলাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করা হয়। সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের খামার বাড়িতেও ভাঙচুর করার খবর পাওয়া গেছে।
পাটগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক উপজেলা চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বাবুলের বাসা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ও রংধনু সমবায় সমিতির কার্যালয়সহ বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙচুর করার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়াও জেলার বেশ কিছু আওয়ামী লীগ নেতার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করার খবর পাওয়া গেছে।
জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়সহ জেলার সব আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে। নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে জেলার সব সরকারি ভবন স্থাপনা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৩ ঘণ্টা, আগস্ট ৫, ২০২৪
এসএম