ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বড়াইগ্রামে সাবেক এমপি ডা. পাটোয়ারীসহ ৬২ জনের নামে মামলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০২৪
বড়াইগ্রামে সাবেক এমপি ডা. পাটোয়ারীসহ ৬২ জনের নামে মামলা সাবেক এমপি ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী

নাটোর: নাটোর-৪ (বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুর) আসনের সাবেক এমপি ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী, তার আপন চার ভাগনেসহ ৬২ জনের নামে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

শনিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে জেলার বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল আযম খান মামলা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

এর আগে শুক্রবার (১৬ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে বনপাড়া বাজারের ব্যবসায়ী নাসির গাজী বাদী হয়ে বড়াইগ্রাম থানায় মামলাটি দায়ের করেন। যার নম্বর-০৩(১)।  

বাদী নাসির গাজী উপজেলার মালিপাড়া গ্রামের জামাল গাজীর ছেলে।

মামলায় আসামিরা হলেন- সাবেক এমপি ডা. মো. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী, ভাগনে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জামাল উদ্দিন মিয়াজী, শামসুদ্দিন শেরশাহ,  জহির উদ্দিন ও  বাহাউদ্দিন, বনপাড়া পৌর যুবলীগ সভাপতি জাকির সরকার,  ছাত্রলীগ নেতা রাকিবুল ইসলাম ওরফে টিটু, ইউনুস আলী, সজিব হোসেন, আশরাফুল মণ্ডল, তোহা মিয়া, সৈনিক লীগ নেতা রুবেল বালি মজনু মিয়া, ওমর ফারুক পাটোয়ারী, রফিকুল ইসলাম ওরফে পারভেজ, সিরাজ পাটোয়ারী, সাইমুন পাটোয়ারী, হাবিবুর রহমান বিশ্বাস, রুবেল হোসেন, তুহিন ব্যাপারী, সাইফুল ইসলাম, রবিউল ইসলামসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৩০-৪০ জন।  

মামলার এজাহারে বাদী নাসির উদ্দিন উল্লেখ করেছেন, গত ৫ আগস্ট দুপুর সাড়ে সময় বনপাড়া ল্যাবরেটরি স্কুল ঢুকে অভিযুক্তরা তার তিনটি মোটরসাইকেল, একটি ল্যাপটপ পুড়িয়ে দেয়। এ সময় বাদী নাসির গাজী, ছেলে মুন্না ও বনপাড়া পৌর কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিন মনির আগুন নেভাতে গেলে ডা. পাটোয়ারী ও জাকির সরকারের হুকুমে আসামিরা হাসুয়া, রামদা, জিআই পাইব নিয়ে আক্রমণ করেন। এ সময় তারা রামদা ও হাসুয়া দিয়ে নাসির, মুন্না ও কাউন্সিলর মনিরকে হত্যার উদ্দেশে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে কোপান। একই সঙ্গে অন্যরা এলোপাতাড়ি ভাবে পাইব দিয়ে পেটাতে থাকেন। এতে তাদের মাথা ও শরীরের অনেক স্থানে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। তাদের উদ্ধারের জন্য মালিপাড়া গ্রামের জিয়াউর রহমান জুয়েল, আব্দুল মমিন,  হারোয়া গ্রামের আব্দুল্লাহ আল আওয়াল মমিন, মহিষভাঙ্গা গ্রামের আনাস মোল্লা এগিয়ে গেলে আসামিরা তাদেরও বেধরক পিটিয়ে জখম করে।

পরে আহতদের ডাক চিৎকারে মালিপাড়া গ্রামের সাইফুল ইসলাম, আমির হোসেন, শাহাদৎ হোসেন এগিয়ে গেলে আসামিরা বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। স্থানীয় লোকজন মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক মাথার সামনের অংশে সামনে সাতটি, পেছন অংশে পাঁচটি, ডান হাতের কনুইতে পাঁচটি সেলাই দেন, ডান হাতের বৃদ্ধা আঙুলের গোড়ায় দুটি, ঠোঁটে দিনটি এবং কানে পাঁচটি সেলাই দেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। চিকিৎসাধীন থাকায়, থানায় এজাহার দিতে বিলম্ব হয়েছে মর্মে উল্লেখ করা হয়।

বড়াইগ্রাম থানার ওসি বাংলানিউজকে বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০২৪
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।