ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

হাতিরপুলে ‘বিএনপি নেতার’ বিরুদ্ধে রেস্টুরেন্ট ভাঙচুর-চাঁদা দাবির অভিযোগ 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০২৪
হাতিরপুলে ‘বিএনপি নেতার’ বিরুদ্ধে রেস্টুরেন্ট ভাঙচুর-চাঁদা দাবির অভিযোগ 

ঢাকা: রাজধানীর হাতিরপুল এলাকার একটি রেস্টুরেন্ট ভাঙচুর ও চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে বিএনপির কথিত নেতা মুন্না ও রনিসহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজন দুষ্কৃতিকারীর বিরুদ্ধে।

সোমবার (১২ আগস্ট) বিকেল ৩টার দিকে রাজধানী হাতিরপুল ২৫ সেন্ট্রাল রোড এলাকার সুমাইয়া রেস্টুরেন্টের মালিকের কাছে চাঁদা দাবি ও রেস্টুরেন্ট ভাঙচুর করা হয়।

এই ঘটনায় ওইদিন দোকান মালিক হোসনে আরা বেগম নিউমার্কেট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।  

এতে বলা হয়, হাতিরপুল এলাকার ২৫ সেন্ট্রাল রোডের সুমাইয়া রেস্টুরেন্টের মালিকে কাছে চাঁদা দাবি, রেস্টুরেন্ট ভাঙচুর করে মুন্না ও রনিসহ দুষ্কৃতিকারীরা। ওই প্রতিষ্ঠানটির ভাঙচুর করে কর্মচারীদের হুমকি ও চাঁদা দাবি করে যায়।  

রেস্টুরেন্টে ভাঙচুর ঘটনার ৫টি ভিডিও বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোরের প্রতিবেদকের কাছে এসেছে। প্রথম ভিডিওতে দেখা যায়, ৫-৬ জন রেস্টুরেন্টে গিয়ে কর্মচারীদের হুমকি দিচ্ছেন। অপর ভিডিওতে দেখা যায়, দোকানের সামনে ও ভেতরের সিসি ক্যামেরা ভাঙছেন হকিস্টিক হাতে ৫/৬ জন ব্যক্তি। আরেক ভিডিওতে হকিস্টিক হাতে ওই ৫/৬ জন ব্যক্তি একজনকে ধাওয়া দেন ও অপর আরেক ব্যক্তিকে হকিস্টিক দিয়ে মারধর করে ধাওয়া দেন।  

লাল বৃত্ত দেওয়া ব্যক্তি অভিযুক্ত কথিত বিএনপি নেতা মুন্না

ভিডিওগুলোর বিষয়ে জানতে রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী মকবুলের সঙ্গে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।  
তবে দোকান মালিক হোসনে আরা বেগম বাংলানিউজকে জানান, শেখ হাসিনার পদত্যাগের ৫ আগস্ট রাত সাড়ে ১১ টার দিকে হাতিরপুল এলাকার সেন্ট্রাল ২৩ নম্বর রোডস্থ আমার বাড়ির গেটে লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়। বাড়ির সামনে বোমা ফাটানো হয় ও সিসি ক্যামেরা ভাঙা হয়। বিএনপির নেতা মুন্না ও রনিসহ আরও ৬-৫ জন এসব কাণ্ড ঘটান।

তিনি বলেন, হাতিরপুল এলাকার সেন্ট্রাল ২৫ নম্বর রোডে আমার একটি দোকান আছে। সেই দোকানে গত ১২ আগস্ট বিকেল ৩টার দিকে ভাঙচুর করেন মুন্না,রনিসহ আরও ৫-৬ জন। দোকানের ভেতরে সিসি ক্যামেরা ভাঙে তারা ও ক্যাশবাক্স লুট করে নিয়ে যায়। এরপর আমি ওইদিন নিউমার্কেট থানায় জিডি করি। গত ১৬ আগস্ট আমার বাসা ও দোকানের সামনের সিসি ক্যামেরা হকিস্টিক দিয়ে ভেঙে ফেলে মুন্না ও রনির লোকজন। ওরা জিজ্ঞেস করে ওদের নামে কেন থানায় জিডি করলাম। এদিকে আমার দোকানের ভাড়াটিয়া ভয়ে দোকান বন্ধ করে রেখেছেন। তাকে মোবাইলফোনেও পাওয়া যাচ্ছে না। এদিকে দুষ্কৃতিকারীরা এখনও দেখে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে । আমরা আতঙ্কে দিন পার করছি।  

নিউমার্কেট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শেখ শাহ আলম বাংলানিউজকে বলেন, আমি এই বিষয়টি কোর্টে পাঠিয়েছি। কোর্ট আমাকে তদন্তের অনুমতি দিলে তদন্তে যাব। আমি নিয়ম অনুযায়ী কাজ করার চেষ্টা করছি।  

বাংলাদেশ সময়: ০১০২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০২৪
এমএমআই/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।