ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘যারা ডিসি হন নাই, তাদের ইজ্জতহানি হয় নাই’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৪
‘যারা ডিসি হন নাই, তাদের ইজ্জতহানি হয় নাই’

ঢাকা: ‘যারা ডিসি হন নাই, তাদের তো পদাবনতি হয়নি, তাই তাদের ইজ্জতহানিও হয় নাই’ বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদ।  

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ৩টায় সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ডিসি নিয়োগ কেন্দ্র করে সচিবালয়ে বিশৃঙ্খলা তদন্তে এক সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটির একমাত্র সদস্য এম এ আকমল হোসেন আজাদ।  

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এ সিনিয়র সচিব বলেন, সব ডেপুটি সেক্রেটারি ডিসি হয় কি না। কম করে হলেও এক হাজার ডেপুটি সেক্রেটারি থেকে মাত্র ৬৪ জন ডিসি হয়। বর্তমান সরকার পাঁচজন বাদে ৫৯ জনকে পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। রেকর্ড আছে একজন ডিসিকে দ্বিতীয় দিনেই প্রত্যাহার করা হয়েছে। যাওয়ার আগে যদি প্রি-কন্সেন্ট বলেন, এদের সবাই স্বৈরাচারী সরকারের বেনিফিশিয়ার, তারা উপকারভোগী ছিলেন। কয়েকজন সচিবের নেতৃত্বে হাই পাওয়ার কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা যাচাই বাছাই করে দেখেছে, টপ স্কোরার বেস্টদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এখন বিতর্ক হয়েছে, ‘এরা খারাপ, এরা ভালো’। এর মধ্যে জনপ্রশাসন সচিব পাঁচজনকে বাতিল করেছেন।

সচিবালয়ে ডিসি হতে ইচ্ছুকদের বিশৃঙ্খলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি বিভিন্ন নিউজ দেখে সাধারণভাবে মনে করি এটা শোভন হয়নি। কারা করেছে, যারা ডেপুটি সেক্রেটারি, সিনিয়র অফিসার, ডিসি হতে ইচ্ছুক, তালিকায় তাদের নাম ছিল, কিন্তু তারা হয়নি। তালিকায় নাম থাকলেই যদি তারা মনে করে যে তারা ডিসি হয়েছে, এটা ঠিক নয়। আমাদেরকে বাছাই করে ৬০ জনের তালিকা দিতে বলেছে। যারা ডিসি হন নাই, তাদের তো পদাবনতি হয়নি, ইজ্জত হানি হয় নাই। তারা কেন হয় নাই আমরা কিন্তু সেটা প্রকাশ করিনি। যদি প্রকাশ করার কোনো আইনগত সুযোগ থাকে, যদিও সেই সুযোগ নাই, তাহলে তারা সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হবেন। অফিসিয়াল সিক্রেসি অনুযায়ী আমরা এটা প্রকাশ করতে পারি না। তিনি সেই পদের জন্য যোগ্য হতে পারেন নাই, অযোগ্য শব্দটা আমরা ব্যবহার করি না।  

তিনি আরও বলেন, একটা জেলার ডিসি মানে একটি মিনি বাংলাদেশের তিনি নেতা। বর্তমান সময়ে ১২০টা কমিটির সভাপতি তিনি। ডিসির মাধ্যমেই সবকিছু চ্যানেলাইজ হয়ে যায়। সুতরাং ডিসির অভিজ্ঞতা বয়স স্বাস্থ্য অনেক কিছু বিবেচনা করতে হয়। আমি কিন্তু তাদের বিভাগীয় মামলা করার অথরিটি না। সাক্ষ্য প্রমাণে আমি কি পেলাম সেটা বলতে পারি। কারা দোষ করেছে কারা করেনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৪
আরকেআর/এসএএইচ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।