লালমনিরহাট: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত লালমনিরহাটের মিরাজুল ইসলাম মিরাজের কবর জিয়ারত করলেন কেন্দ্রীয় সমন্বয়করা।
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ও আহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়ও করেন তারা।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের বারঘড়িয়া আনছারখাঁর পুকুরপাড় এলাকায় মিরাজুল ইসলাম মিরাজের কবর জিয়ারত করেন কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক দলটি।
কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সমন্বয়ক তারিকুল ইসলাম তারিক, আবু সাইদ দুলাল, সুমন বসুনীয়া, রাসেল আহমেদ, আব্দুল মুনইম, তাসনিমের নেতৃত্বে একটি দল লালমনিরহাট সফর করে নিহত ও আহতদের পরিবারের সঙ্গে এবং সাধারণ শিক্ষার্থী ও জনতার সঙ্গে পৃথক মতবিনিময় করেন তারা। জেলা শহরের কালেক্ট্রেট মাঠে শিক্ষার্থী ও জনতার সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা।
বক্তব্যে কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সমন্বয়ক তারিকুল ইসলাম তারিক বলেন, আমাদের আন্দোলন ছিল কোটা সংস্কার আন্দোলন। কিন্তু শেখ হাসিনার সরকার সেই আন্দোলন দমানোর জন্য পুলিশ বাহিনীকে দিয়ে ছাত্রদের বুকে গুলি করেছে। কেড়ে নিয়েছে তাজা প্রাণ। শেখ হাসিনার পদে পদে ভুল ছিল। তাই সে দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভুলের খেসারত দিচ্ছেন। তবে তার দুর্নীতিবাজ পেতাত্মরা এখনও অনেকে দেশে আছেন। আমরা তাদের যেখানেই পাব, ধরে নিয়ে আইনের হাতে তুলে দেব। আমরা চাই প্রশ্ন করার আন্দোলন। আর যদি কেউ বেনজির আহমেদ বা হারুন অর রশীদ হতে চান, আমরা রুখে দেব। আমরা স্বাধীন বাংলার নাগরিক। আমরা ভারতের কাছে আর মাথা নত করব না। আমরা তাদের চোখে চোখ রেখে কথা বলব।
সমন্বয়করা তাদের বক্তব্যে বলেন, আমরা উত্তরবঙ্গকে আর পিছিয়ে থাকা দেখতে চাই না। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে সরকারকে সহায়তা করে দেশ এগিয়ে নিয়ে যাব। স্বেরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে আমার যুদ্ধ আংশিক শেষ হয়েছে। যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি। আমাদের টার্গেট দলীয় লেজুড়বৃত্তি উৎখাত করা। আমরা দুর্নীতি ও চাঁদবাজ রুখে দিয়ে বৈষম্যবিরোধী দেশ গড়ে তলব।
এর আগে, বিকেলে আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের বারঘড়িয়া গ্রামের ঢাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত মিরাজুল ইসলাম মিরাজের করব জিয়ারত করেন সমন্বয়করা। সেখানে তার পরিবারের খোঁজখবর নেন তারা।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৪
এসআরএস