রাঙামাটি: দীর্ঘ চারমাস সাত দিন বন্ধ থাকার পর রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে গত পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে মৎস্য আহরণ শুরু হয়েছিল। ১৫ দিনের মধ্যে হ্রদ থেকে প্রায় এক হাজার টনেরও বেশি মৎস্য আহরণ হয়েছে।
কাপ্তাই হ্রদ মৎস্য উন্নয়ন ও বিপণন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক কমান্ডার মো. আশরাফুল আলম ভুঁইয়া জানান, সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত বিপণন কেন্দ্রের চারটি (রাঙামাটি সদর, কাপ্তাই, মারিশ্যা, খাগড়াছড়ির মহালছড়ি) পল্টুনের হিসেব মতে, এক হাজার টন মাছ কাপ্তাই হ্রদ থেকে আহরণ করা হয়েছে। এর থেকে প্রায় সরকার রাজস্ব আদায় করেছে দুই কোটি টাকা।
তিনি আরও জানান, এ বছর কাপ্তাই হ্রদ থেকে মাছ আহরণের লক্ষ্যমাত্রা আট হাজার মেট্রিক টন এবং শুল্কহার আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে আনুমানিক ১৭ কোটি টাকার মতো।
উল্লেখ্য, হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের বংশবৃদ্ধি, হ্রদে অবমুক্ত করা পোনা মাছের সুষ্ঠু বৃদ্ধি, মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিতকরণসহ হ্রদের প্রাকৃতিক পরিবেশ, মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধির সহায়ক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রতি বছর ১মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত তিন মাস মাছ শিকার বন্ধ রাখা হয়। তবে এবার হ্রদে পর্যাপ্ত পানি থাকায় ১ আগস্ট থেকে মৎস্য আহরণ শুরু করা যায়নি। কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য শিকার বন্ধকালীন প্রায় ২৬ হাজার পরিবারকে প্রতি মাসে ২০ কেজি করে খাদ্যশস্য বরাদ্দ দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪
এসএম