ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে: ডিএমপি কমিশনার 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৪
আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে: ডিএমপি কমিশনার  ডিএমপির কমিশনার মো. মাইনুল হাসান।

ঢাকা: নবীন পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. মাইনুল হাসান বলেছেন, সামনের দিনগুলোর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিজেদেরকে প্রস্তুত করতে হবে। নিজেকে প্রস্তুত করার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে প্রশিক্ষণ।

সুতরাং অবশ্যই মনোযোগ দিয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হবে।  

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে ‘এএসপি প্রবেশনারদের ওরিয়েন্টেশন কোর্সে'র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।  

ডিএমপি কমিশনার বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের প্রধান কাজ হচ্ছে জনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। একটি দেশে যদি শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা না থাকে তাহলে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ দেশের সার্বিক উন্নয়ন ব্যাহত হয়। অবশ্যই জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এটা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং কাজ। আইনের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। জনশৃঙ্খলা রক্ষার এ চ্যালেঞ্জিং কাজটি আপনাদেরকে করতে হবে।  

সাম্প্রতিক সময়ে নিহত পুলিশ সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা ও তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অনেক কিছু নতুন করে শুরু হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ বাংলাদেশ পুলিশের সবচেয়ে বড় ইউনিট। এটা অনেক বড় প্রতিষ্ঠান। এখানে প্রায় ৩৫ হাজার জনবল রয়েছে। যাদের মাধ্যমে ঢাকা মহানগরবাসীকে পুলিশি সেবা দিয়ে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ তিন ধরনের কাজ করে। প্রথম কাজ হলো সমাজে অপরাধ যাতে না হয় তার প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা। দ্বিতীয় হচ্ছে ঘটনা ঘটার পর অপরাধের সঠিক কারণ নির্ণয়, অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য তদন্ত ও অনুসন্ধান করা। এই দুই ধরনের কাজকে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য তৃতীয় যে কাজটি করা সেটা হচ্ছে ইন্টেলিজেন্স সংগ্রহ করা। এই ইন্টেলিজেন্স সংগ্রহের কাজটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণ মানুষের কাছে না গেলে ইন্টেলিজেন্স পাওয়া যাবে না। তাই আপনাদের মানুষের কাছাকাছি যেতে হবে।  

'যত মানুষের কাছাকাছি যাবেন তত ইন্টেলিজেন্স পাবেন। আর যত ইন্টেলিজেন্স পাবেন অপরাধ প্রতিরোধে তত বেশি কাজে লাগবে' বলেও জানান ডিএমপি কমিশনার মাইনুল হাসান।  

নবীন পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে ডিবিপ্রধান রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, যে কোনো চাঞ্চল্যকর ঘটনার রহস্য উদঘাটন, আসামি গ্রেফতার ও আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য ডিবি প্রতিষ্ঠা করা হয়।  

'প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ডিবি নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। কিশোর অপরাধ, সোশ্যাল মিডিয়া ক্রাইম, অনলাইন গুজব ও সাইবার অপরাধ দমনে ডিবি রাতদিন কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। '

তিনি আরও বলেন, একটা কথা মনে রাখতে হবে সবাই আপনাদের কাজকর্ম পর্যবেক্ষণ করবে। সুতরাং আপনাদের দায়িত্ব পালন হতে হবে জবাবদিহিমূলক ও স্বচ্ছ।  

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) ফারুক আহমেদ বলেন, প্রত্যেক মানুষ কাউকে না কাউকে তার আদর্শ মানে, সম্মান করে। আপনাকে কেউ সম্মান করবে কী না, সেটা আপনার কর্মের উপরই নির্ভর করে। আপনাকে সেভাবেই প্রস্তুত হতে হবে। নিজেকে নেতা হিসেবে তৈরি করতে হবে। অনেক সময় পুলিশকে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিতে হয়। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার যোগ্য হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে।

অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. ইসরাইল হাওলাদার বলেন, পুলিশ ও সমাজ অঙ্গাঙ্গিকভাবে জড়িত। একে অপরের পরিপূরক। পুলিশের কাজ সমাজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। পুলিশের কাজ অক্সিজেনের মতো। দেখা যায় না তবে তা না থাকলে এর অভাব অনূভব করা যায়। অক্সিজেন ছাড়া যেমন মানুষ চলতে পারে না পুলিশ ছাড়াও একটি সমাজ চলতে পারে না।

অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) ফারুক আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. ইসরাইল হাওলাদার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) রেজাউল করিম মল্লিক, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) হাসান মো. শওকত আলীসহ বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৪
এসজেএ/এএটি
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।