নীলফামারী: রংপুরে অনিয়ম-দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশের জেরে দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন তিন সাংবাদিক।
সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে দীর্ঘ শুনানি শেষে সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক আবদুল মজিদ এ রায় ঘোষণা করেন।
খালাস পাওয়া তিন সাংবাদিক হলেন- ঢাকা পোস্টের নীলফামারী প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম, দৈনিক যুগের আলো ও মানবকণ্ঠের প্রতিনিধি মহিউদ্দিন মখদুমী, দেশ রূপান্তরের সাবেক প্রতিনিধি মামুন রশিদ।
রংপুর সদর উপজেলার সদ্যপুস্করনী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সোহেল রানার বিরুদ্ধে ভিজিডির চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে সংবাদ প্রকাশ করেন সাংবাদিক মহিউদ্দিন মখদুমী, মামুন রশিদ ও শরিফুল ইসলাম। সংবাদ প্রকাশের কারণে ইউপি চেয়ারম্যানের মানহানির অভিযোগে তার শ্বশুর মোস্তাফিজার রাহমান বাদী হয়ে ২০২১ সালের ১৪ জুন রংপুর সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন।
মামলার অভিযোগ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় দৈনিক যুগের আলো ও মানবকণ্ঠ পত্রিকায় ২০২১ সালের ২৪মে ‘ভিজিডির কার্ডে চাল নেন সদ্যপুস্করনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের শাশুড়ি’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন সাংবাদিক মহিউদ্দিন মখদুমী। একই দিনে অনলাইন নিউজ পোর্টাল রংপুরের কণ্ঠের সাংবাদিক একই শিরোনামে খবর প্রকাশ করেন। দেশ রূপান্তর পত্রিকাতেও একই খবর প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনের মাধ্যমে সদ্যপুস্করনী ইউপির চেয়ারম্যান সোহেল রানার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করা এবং বাদীর স্ত্রী ও জামাতার সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। ২০২১ সালের ৫ নভেম্বর কোতোয়ালি থানার উপরিদর্শক (এসআই) শাহ আলম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
গত বছরের ২৫ আগস্ট বিচার কার্যক্রম শুরুর পর থেকে আদালত বিভিন্ন সময়ে আট জন সাক্ষীর মধ্যে পাঁচ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। এরপর আজ বিচারের রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। এ দিন বাদীপক্ষের অনুপস্থিতিতে দীর্ঘ ৪০ মিনিট বিচারকের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। বাদীর অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় আদালত আসামিদের বেকসুর খালাস দেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৭১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৭, ২০২৪
এসএম