ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘যেন আরেকটি স্বৈরাচারী শাসন প্রতিষ্ঠা না হয়’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০২৪
‘যেন আরেকটি স্বৈরাচারী শাসন প্রতিষ্ঠা না হয়’

যশোর: যশোরে ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান ও গন্তব্যের পথ নির্মাণ’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা বলেছেন, আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে, যেন আরেকটি স্বৈরাচারী শাসন প্রতিষ্ঠা না হয়। আর সেজন্যে সকল হত্যা, গুম, নির্যাতন, অর্থ পাচার ও অন্যায়ের যথাযথ বিচার করতে হবে।

শনিবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় প্রেসক্লাব যশোরের শহীদ আর এম সাইফুল আলম মুকুল মিলনায়তনে আয়োজিত সেমিনারে এসব কথা বলেন বক্তারা। চিন্তা প্রকাশ নামে একটি সংগঠন এই সেমিনারের আয়োজন করে। এতে সংগঠনের সভাপতি মফিজুর রহমান রুননু মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন।

বক্তারা আরো বলেন, গত ১৫ বছর দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে নিকৃষ্টতম স্বৈরাচারী শাসনে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে ঘিরে ছিল লুটপাটকারী ও দখলবাজরা। দেশে এক ধরনের ‘ক্রনিক ক্যাপিটালিজম’ গড়ে উঠেছিল। অর্থ পাচার, অবাধ লুটপাট, দখলবাজি, চাঁদাবাজি, মামলাবাজি, নির্যাতন, হত্যা ও গুমের এক শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছিল। মেগা প্রজেক্টের মাধ্যমে মেগা দুর্নীতি হয়েছে। চাকরির ক্ষেত্রে চরম বৈষম্যের শিকার হয় চাকরিপ্রত্যাশী সাধারণেরা। সেকারণে ছাত্রদের আন্দোলন ক্রমে গণ-আন্দোলনে রূপ নেয়। ফলে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা দেশত্যাগে বাধ্য হন।

আলোচকরা সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দেন।  

তারা বলেন, এক ব্যক্তির হাতে সর্বময় ক্ষমতা গণতন্ত্রের জন্য সাংঘর্ষিক। রাজনীতি যেন সম্পদ ও অর্থবিত্ত গড়ে তোলার হাতিয়ার না হয়; সেদিকে লক্ষ্য রেখে গণবিরোধী দানব তৈরির পথ বন্ধ করতে হবে। অপশাসন রোধে সর্বস্তরে জবাবদিহি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।  

বক্তারা আরও বলেন, পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রের মাঝে এক সময় আমরা মুক্তি খুঁজেছিলাম। বিশ্বাস করেছিলাম মুসলমান মুসলমান ভাই ভাই। কিন্তু ১৬০০ কিলোমিটার দূরে ভিন্ন ভাষা ও সংস্কৃতির মুসলমানেরা কতটুকু ভ্রাতৃত্বের আচরণ করবে; সেটা আমাদের তখন ভাবনায় আসেনি। শেষ পর্যন্ত বন্ধন টেকেনি। পাকিস্তান আমলের শোষণ, বৈষম্য, বঞ্চনা, সম্পদ পাচার ও অধিকারহীনতায় সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে তাদের সাথে সম্পর্ক চুকিয়েছিল।

যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন (এমএম) কলেজের কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আফসার আলীর সভাপতিত্বে আলোচনা করেন সুন্দরবন সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ইসরারুল হক, সরকারি মাইকেল মধুসূদন (এমএম) কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আবু বকর সিদ্দিকী ও বাংলা বিভাগের প্রফেসর ড. এম আমানুল্লাহ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোরের আহ্বায়ক রাশেদ খান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০২৪
ইউজি/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।