ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ওয়াসার এমডির সঙ্গে রিহ্যাব নেতাদের বৈঠক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২৪
ওয়াসার এমডির সঙ্গে রিহ্যাব নেতাদের বৈঠক

ঢাকা: নির্মাণাধীন ভবনে ওয়াসার বিলের হয়রানি বন্ধ এবং নতুন ট্যারিফ এর দাবিতে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. ফজলুর রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন রিহ্যাব নেতারা।  

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) রাজধানীর কারওয়ানবাজারে ওয়াসা কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে রিহ্যাব এর পক্ষে প্রেসিডেন্ট মো. ওয়াহিদুজ্জামান প্রতিনিধিত্ব করেন। বৈঠকে রিহ্যাব এর ভাইস প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল লতিফ এবং রিহ্যাব পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মো. মহসিন মিয়া, মুহাম্মদ লাবিব বিল্লাহ ও মো. আইয়ুব আলী উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরে বলেন, ওয়াসা বিলে দুইটি ট্যারিফ রয়েছে অর্থাৎ আবাসিক ও বাণিজ্যিক। নির্মাণাধীন প্রকল্পে বাণিজ্যিক হিসেবে বিল পরিশোধ করতে হয়, কিন্তু নির্মাণাধীন প্রকল্পের পানি ব্যবহার ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবহার একই ধরনের নয়। এজন্য নির্মাণাধীন প্রকল্পের জন্য আবাসিক ও বাণিজ্যিক ট্যারিফের মাঝামাঝি রেট নির্ধারণের দাবি জানান তিনি।

ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, খালি প্লটে নির্মাণকালীন সময়ে সুয়ারেজ লাইন থাকে না এবং পুরাতন স্থাপনা ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণকালীন সুয়ারেজ লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং ওই সময়ে অস্থায়ী টয়লেট তৈরি করে নির্মাণ কাজ পরিচালনা করা হয়। এসব ক্ষেত্রে যেখানে ব্যবহৃত পানি সুয়ারেজ লাইনে প্রবেশের কোনো সুযোগ থাকে না তথাপি ওয়াসাকে নির্মাণকালীন সুয়ারেজ ব্যবহার না করেও দ্বিগুণ হারে বিল পরিশোধ করতে হয় যা যুক্তিযুক্ত নয়। নির্মাণাধীন প্রকল্পের জন্য সুয়ারেজ বাদে বিল ইস্যু করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান।

আবাসিক বাড়ি ভেঙে নির্মাণ কাজ শুরু করলে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাণিজ্যিক রেটে মিটারের রিডিং অনুযায়ী বিল ইস্যু করে কিন্তু নির্মাণ কাজ শেষে আবাসিক হিসেবে ব্যবহার শুরু করা হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আবাসিক বিল ইস্যু করা হয় না। এক্ষেত্রে আবাসিকে রূপান্তরের জন্য আবেদন করলে ছাদ মাপে প্রতি বর্গফুট হিসেবে বিল করে গ্রাহককে হয়রানি করা হয় ও অবৈধ সুবিধা দাবি করা হয় এবং উক্ত দাবি পূরণ না করলে মাসের পর মাস বাণিজ্যিক হিসেবে বিল পরিশোধে বাধ্য করা হয় যা কোনোভাবেই যুক্তিযুক্ত নয়। অতএব, নির্মাণ কাজ শেষে ভবনের ছাদ মাপে প্রতি বর্গফুট হিসেবে বিল করার বিষয়টি বাতিল করার জন্য দাবি জানান রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট।

বর্তমানে ওয়াসা কর্তৃপক্ষের সরবরাহকৃত মিটারগুলো খুবই নিম্নমানের অসাধু রিডিংম্যান এ সুযোগ নিয়ে ইচ্ছামতো বিল ধরিয়ে দেয় অথবা কিছু অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে রিডিং কম দেখিয়ে বিল ইস্যু করেন এবং এতে সরকার যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তেমনি গ্রাহকরাও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই উক্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দাবি জানানো হয়।  

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের যেসব এলাকায় ওয়াসার লাইন নাই সেসব এলাকায় সাবমার্সিবল পাম্প বসিয়ে নির্মাণ কাজ করলেও ওয়াসা কর্তৃপক্ষ ইচ্ছেমতো বিল ইস্যু করে এবং উক্ত বিল পরিশোধ করতে হয়। যেহেতু এখানে ওয়াসা কর্তৃপক্ষের কোনো লাইনই নাই সেহেতু কোনোভাবেই এ বিল করা যুক্তিযুক্ত নয়। অতএব যেসব এলাকায় ওয়াসার লাইন নাই সেসব এলাকায় ওয়াসা বিল না করার নির্দেশ দেওয়ার দাবি জানান রিহ্যাব নেতারা।  

ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুর রহমান আন্তরিকতার সঙ্গে রিহ্যাব নেতাদের দাবি শোনেন।  

তিনি বলেন, ওয়াসার নতুন বোর্ড গঠিত হলে বিষয়টি এজেন্ডা আকারে উপস্থাপন করবেন এবং সন্তোষজনক সমাধানের ব্যবস্থা নেবেন বলে রিহ্যাবকে জানান।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৫১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০২৪
এসএমএকে/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।