ঢাকা: সকালে ও বিকেলে ট্রাফিক সমস্যা বেশি হয় জানিয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, এই দুই সময়ে চার ঘণ্টা করে শিক্ষার্থীরা ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করবে।
পার্ট টাইম চাকরি হিসেবে এ কাজটি শিক্ষার্থীরা করবে বলে জানান তিনি।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) সচিবালয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান।
উপদেষ্টা বলেন, আমরা প্রত্যেক সেক্টরে ছাত্র-যুবকদের এনগেজ করছি। আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে যারা নেতৃত্ব দেবে, ভবিষ্যতের কাণ্ডারি হয়ে উঠবে তাদেরকে এখন থেকেই সেই জায়গাগুলো থেকে নেতৃত্ব নিশ্চিত করার কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমরা ট্রাফিক সচেতনতার একটা প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছি এবং সেখানে এক হাজার জন অংশগ্রহণ করেছেন। তাদের মধ্য থেকে প্রায় সাতশ’ জন সহায়ক ট্রাফিক পুলিশ হিসেবে যোগ দিচ্ছেন। প্রশিক্ষণটা চলমান আছে। এরকম প্রত্যেক জায়গায় যুবকদের সম্পৃক্ত করব। তাদের সিলেকশন চলছে। প্রায় সাতশ’ জনকে নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা আছে। প্রাথমিকভাবে ৩-৪শ জন নেওয়া হবে। আপনারা জানেন ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার অবস্থা খুবই খারাপ। ছাত্ররাই ৫ তারিখ থেকে ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব নিয়েছিল। তারাই এখন ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে থাকবে এবং প্রফেশনাললি তারা কাজ করবে।
এ উপদেষ্টা আরও বলেন,‘আমরা চিন্তা করেছি, সকালে এবং বিকেলে ট্রাফিক বেশি সমস্যা হয়। এই দুই সময়ে চার ঘণ্টা করে ছাত্ররা এই পয়েন্টগুলোতে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করবে। ’
তারা তো শিক্ষার্থী, তাদের পড়াশোনার বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, এ কারণেই চার ঘণ্টা। আমিও ছাত্র ছিলাম, টিউশনি করিয়েছি। একটা টিউশনি করতে যেতে আসতে দেখা যায় ৩-৪ ঘণ্টা লেগে যায়। এ কারণে চার ঘণ্টা করা। যাতে একজনের চার ঘণ্টা সময় যায়। এটা একটা পার্ট টাইম জব। আমরা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে দেখি যে ছাত্রদেরকে সরকারি অনেক কাজে সম্পৃক্ত করা হয় এভাবে। যদি আমরা ফুল টাইম কাউকে নিতে যাই তাহলে সরকারের অর্থেরও বেশি বেশি প্রয়োজন হবে। আর আমরা টার্গেটেড করতে চাচ্ছি, চার ঘণ্টা। যে সময়টাতে বেশি ট্রাফিক সমস্যা থাকে। এতে সরকারেরও সুবিধা হলো এবং তাদেরও একটা আর্থিক অন্বেষণ হলো।
এসব ছাত্রের পড়াশোনা শেষ হলে পুলিশে মার্জ করা হবে কিনা- প্রশ্নে তিনি বলেন, যদি সে ধরনের সুযোগ থাকে এবং ছাত্রদের পক্ষ থেকে আগ্রহ থাকে তাহলে আমরা অবশ্যই সেটা আমরা ইনকরপোরেট করার চেষ্টা করব।
আগামী ১ নভেম্বরের যুব দিবস উদ্যাপন নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, এবার ভিন্ন আঙ্গিকে যুব দিবস পালন করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। আমি জানতাম না যুব দিবস ছিল, আছে বা পালিত হয়, আমি যখন স্টুডেন্ট ছিলাম ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে। সেই জায়গা থেকে আমার মনে হয় আরও এনগেজিং করা দরকার। সরকারি যে কার্যক্রমগুলো থাকে সেগুলোকে আমরা যদি আরও এনগেজিং না করতে পারি, মানুষের মধ্যে না পৌঁছাতে পারি, আলটিমেটলি জনগণের অর্থই তো খরচ হয়। সেগুলোকে মানুষের মধ্যে পৌঁছানো এবং কিছু রিয়েল পরিবর্তন নিয়ে আসা। তারই অংশ হিসেবে আমরা ৬৪টি খাল পরিষ্কার কর্মসূচি হাতে নিয়েছি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় এতে সহযোগিতা করছে। শুধু প্রতীকীভাবে একটা খাল না, আমরা ৬৪টি খাল পরিষ্কার করছি। শুধু একবার পরিষ্কারকরে ছেড়ে দেয়া না, তার পরবর্তীতে ম্যানেজমেন্ট যাতে সেই অবস্থাতেই থাকে সেটাও আমরা নিশ্চিত করার পরিকল্পনা করছি। এছাড়াও আরও কিছু কর্মসূচি আমরা হাতে নিয়েছি।
উপদেষ্টা বলেন, যুব দিবসকে, এই যুবক-তরুণদের অভ্যুত্থান, যারা এর নেতৃত্বে দিয়েছে তাদেরকে যাতে প্রকৃতভাবে সেলিব্রেট করা যায় সেটাই আমাদের লক্ষ্য থাকবে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের সেখানে এনগেজ করছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২৪
এমআইএইচ/এসএএইচ