ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সাবেক মন্ত্রী সাইফুজ্জামানের বিরুদ্ধে সিআইডির অনুসন্ধান শুরু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০২৪
সাবেক মন্ত্রী সাইফুজ্জামানের বিরুদ্ধে সিআইডির অনুসন্ধান শুরু

ঢাকা: সাবেক ভূমিমন্ত্রী ও চট্টগ্রাম-১৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের বিরুদ্ধে ওঠা অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিআইডির মুখপাত্র অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার আজাদ রহমান।

তিনি বলেন, সাবেক ভূমিমন্ত্রী এবং চট্টগ্রাম-১৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এবং তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ওঠা যুক্তরাষ্ট্র, লন্ডন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সিঙ্গাপুরে অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করেছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।

আজাদ রহমান জানান, ২০০৫ সালে সাইফুজ্জামান যুক্তরাষ্ট্রে নাহার ম্যানেজমেন্ট ইনকরপোরেটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান খোলেন। ২০০৫ সাল থেকে তিনি বিভিন্ন সময়ে এই প্রতিষ্ঠানের নামে যুক্তরাষ্ট্রে নয়টি ফ্ল্যাট কেনেন। ২০১৪ ও ২০১৫ সালে কম্পিউটার সফটওয়্যার ব্যবসা করার জন্য দুবাইয়ে র‌্যাপিড র‌্যাপ্টর এফজিই এবং জেবা ট্রেডিং এফজিই নামে দুটি প্রতিষ্ঠান খোলেন। এ ছাড়া তার স্ত্রী রুখমিলা জামান চৌধুরীর নামে আল-বারশা সাউথ-থার্ড এলাকায় কিউ গার্ডেনস ও বুটিক রেসিডেন্সে দুটি ফ্ল্যাট কিনেন, যার দাম ২২ লাখ ৫০ হাজার ৩০০ দিরহাম।

সিআইডির এ কর্মকর্তা জানান, ২০১৬ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে সাইফুজ্জামান চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও আরব আমিরাতে ৬২০টি বাড়ি কেনেন, যার বাজারমূল্য প্রায় ৪৮ কোটি ডলার। ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে সাইফুজ্জামান চৌধুরী ২০১০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত নিজের ও স্ত্রী রুখমিলা জামানের নামে যুক্তরাজ্য ও দুবাইয়ে আটটি প্রতিষ্ঠান খোলেন, যার স্থায়ী ও চলতি সম্পদের মূল্য ২১ কোটি ৭২ লাখ ৬০ হাজার ডলার।

অভিযোগ রয়েছে, বাংলাদেশ থেকে পাচারকৃত অর্থ দিয়ে সাইফুজ্জামান যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে এসব কোম্পানি খুলে বিনিয়োগ করেছেন। এ ছাড়া, বাংলাদেশ ব্যাংক এখন পর্যন্ত যে ২১টি প্রতিষ্ঠানকে বিদেশে বিনিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে সেই তালিকায় সাইফুজ্জামান চৌধুরী বা তার পরিবারের কারও নাম নেই।  

আজাদ রহমান জানান, ভোটের আগে নির্বাচন কমিশনে সাইফুজ্জামান চৌধুরী যে সম্পদ বিবরণী জমা দেন, সেখানে তার বিদেশে থাকা সম্পদের কোনো তথ্য নেই। অর্থ পাচার, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী এটি একটি অপরাধ। এ কারণে সাইফুজ্জামান চৌধুরী এবং তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০২৪
এসসি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।