সিলেট: সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দরে ভারত থেকে আসা ট্যাংকলরিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়েছে স্থলবন্দরের কম্পাউন্ড।
শনিবার (০৯ নভেম্বর) দুপুর দেড়টায় তামাবিল স্থলবন্দরে ভারত থেকে আসা মিথানলের একটি ট্যাংকলরিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ হতাহত হননি।
এ সময় তামাবিল স্থলবন্দর থেকে জৈন্তাপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশনে খবর দেওয়া হয়। কিন্তু ১২ কিলোমিটার দূর থেকে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসতে দেরি ভেবে তাৎক্ষণিকভাবে ভারতের ডাউকি স্থলবন্দর থেকে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ব্যাপারে তামাবিল স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক আমিনুল হক বলেন, গত ৫ নভেম্বর বাংলাদেশের মিথানল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সামুদা স্প্রেক ক্যামিকেল লিমিটেডের নামে ৭টি গাড়ি তামাবিল স্থলবন্দরে প্রবেশ করে। পরে ল্যাবরেটরি পরীক্ষা শেষে শনিবার বাংলাদেশের ট্যাংকলরিতে কেমিকেলগুলো স্থানান্তর করা হয়। প্রতিটি ভারতীয় ট্যাংকলরিতে ২৮-৩০ টন মিথানল থাকে বলে তিনি জানান।
আমিনুল হক বলেন, আগুন লাগা গাড়িটি আমদানির ৭টি গাড়ির সর্বশেষ গাড়ি ছিল। পুড়ে যাওয়া গাড়ির চালক সারভান জানিয়েছেন গাড়ির ভেতরে ওয়্যারিং শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত। বাকিটা তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে।
এদিকে মিথানলের গাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ও স্থলবন্দরে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা না থাকায় স্থানীয় ব্যবসায়ী ও স্থলবন্দর শ্রমিকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
তামাবিলের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ছয় মাস আগে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা নিশ্চিত করে কেমিকেল আমদানির বিষয়ে লিখিত আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নিতে দেখা যাচ্ছে না। দ্রূত সময়ের মধ্যে কেমিকেল আমদানির পূর্বে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০২৪
এনইউ/এমজেএফ