ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সুন্দরবন থেকে দুই জেলে অপহরণ, মুক্তিপণ দাবি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০২৪
সুন্দরবন থেকে দুই জেলে অপহরণ, মুক্তিপণ দাবি

সাতক্ষীরা: সুন্দরবনে মাছ শিকারে যাওয়া দুই জেলেকে অপহরণ করে চার লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে বনদস্যুরা।  

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সকালে পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের মালঞ্চ নদীর সাতনলা দুনে এলাকা থেকে তাদের অপহরণ করা হয়।

অপহৃত দুই জেলে হলেন, খুলনার কয়রা উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের আতাহার হোসেন (৩৫) ও রফিকুল ইসলাম (৩৮)।

ফিরে আসা জেলে রবিউল ইসলাম ও আছাদুল গাজীসহ অন্যান্যরা জানান, গত ৩০ অক্টোবর তারা চারটি নৌকায় আটজন জেলে শ্যামনগরের বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন থেকে পাশ নিয়ে সুন্দরবনে প্রবেশ করেন। এক সপ্তাহেরও বেশী সময় ধরে ফিরিঙ্গি এলাকায় মাছ শিকারের পর গত বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) তারা মালঞ্চ নদীতে পৌঁছান। একপর্যায়ে সেখানকার সাতনলার দুনে এলাকায় মাছ শিকারের সময় ‘দয়াল বাহিনী’র পরিচয়ে চার সদস্যের বনদস্যু বাহিনী অস্ত্রের মুখে তাদের জিম্মি করে। এসময় চারটি নৌকা থেকে দুই জেলেকে উঠিয়ে নিয়ে চার লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।

তারা আরও জানান, দুই সহযোগী জেলেকে অপহরণকারী বনদস্যুরা আত্মসমর্পণকৃত বনদস্যু মজনু বাহিনীর সদস্য। কৌশল হিসেবে তারা দয়াল বাহিনীর নাম ব্যবহার করছে। অপহৃত জেলেদের সহযোগীরা আরও জানায়, চার সদস্য প্রকাশ্যে এলেও সংখ্যায় তারা আট/নয় সদস্য।

স্থানীয় সূত্র মতে, ২০১৭ সালে বনদস্যু মজনু তার বাহিনীর ১৮ জন সদস্যসহ র‌্যাব-৮ এর কাছে আত্মসমর্পণ করেন। তিনি শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের চকবারা গ্রামের বাসিন্দা। তবে দস্যুতায় জড়ানোর পর থেকে খুলনার সোনাডাঙ্গা এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন তিনি।

স্থানীয় নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্রের দাবি, গত তিন সপ্তাহ আগে বিপুল কোম্পানির নৌকাযোগে বনদস্যু দলের সদস্যরা সুন্দরবনে প্রবেশ করে। দস্যুতার সঙ্গে জড়িত অন্যরা কয়রা এলাকার বাসিন্দা।

এ বিষয়ে সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) এ জেড এম হাছানুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো জেলের পরিবার বিষয়টি বনবিভাগকে জানায়নি। তবে খোঁজ নিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে অপহৃত জেলেদের উদ্ধার করা হবে।

উল্লেখ্য, গত ৩ নভেম্বর পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের সুন্দরবনের চুনকুড়ি নদীর তক্তাখালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে বনদস্যুদের কবল থেকে অপহৃত ১০ জেলেকে উদ্ধার করে বন বিভাগের সদস্যরা। এর আগে গত ৩১ অক্টোবর পশ্চিম সুন্দরবনের কোষ্টখালী খালে কাঁকড়া শিকারকালে শ্যামনগর ও কয়রা উপজেলার মফিজুর রহমান ও মৃণাল সরদার নামের দুই জেলেকে অপহরণ করে বনদস্যুরা।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।