দিনাজপুর: অগ্রহায়ণের প্রথম দিনেই ঘন কুয়াশা ঢাকা পড়েছে দিনাজপুর। ঘরের চালে টিপটিপ বৃষ্টির মতো পড়ছে হিম কণা।
ঘর থেকে কাজের সন্ধানে বের হওয়া মানুষ গায়ে জড়িয়েছেন মোটা জামা কাপড়। এভাবেই শীত আবহ জমে উঠছে উত্তরবঙ্গের এই অঞ্চলটিতে
ক্রমশই কমছে দিনাজপুরের তাপমাত্রা। সূর্যের দেখা মেলেনি সকালে। হেমন্তকালেই যেন শীতকালের পুরো আমেজ।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে দিনাজপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আর দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে নওগাঁর বদলগাছীতে।
সকাল সকাল নিজের ইজিবাইক নিয়ে বের হয়েছেন সদর উপজেলার ফরিদপুর এলাকার ফাতাহুর রহমান। গায়ে জড়িয়েছেন মোটা কাপড়।
কথা হলে তিনি বলেন, কয়েকদিন ধরে কুয়াশার সঙ্গে সঙ্গে শীতের প্রকোপ বেড়েছে। ইজিবাইক চালানোর সময় শীতটা আরও বেশি লাগে। কুয়াশার কারণে সন্ধ্যার পর ও সকালে গাড়ি চালাতে কিছুটা অসুবিধা হয়। আমাদের মত খেটে খাওয়া মানুষের জন্য একটু কষ্টকর হয়।
সদর উপজেলার ৬ নং আউলিউর ইউনিয়নের কৃষক নুর ইসলাম বলেন, এক সপ্তাহ আগেও সন্ধ্যা এবং সকালে হালকা করে শীত পড়তো। কুয়াশার পরিমাণও কম ছিল। গত দু-দিন থেকে শীত আর কুয়াশা বেশি পড়ছে। এখন পর্যন্ত ফসলের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি।
দিনাজপুর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকালে দিনাজপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ দশমিক আট ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এদিন বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৪ শতাংশ এবং বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় দুই কিলোমিটার। নভেম্বর মাসজুড়ে তাপমাত্রা কমতে থাকবে। ডিসেম্বরে দিনাজপুরের উপর দিয়ে শৈত প্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২৪
এসএএইচ