ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মৎস্যপণ্য উৎপাদন গবেষণা আরও জোরদার করতে হবে: উপদেষ্টা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০২৪
মৎস্যপণ্য উৎপাদন গবেষণা আরও জোরদার করতে হবে: উপদেষ্টা

ঢাকা: নতুন প্রজন্মের কাছে মাছকে আকর্ষণীয় করার জন্য রেডি টু কুক মৎস্যপণ্য উৎপাদন গবেষণা আরো জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার ৷

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, নতুন প্রজন্মের কাছে মাছকে আকর্ষণীয় করার জন্য বিএফআরআই-কে রেডি টু কুক মৎস্যপণ্য উৎপাদন গবেষণা আরও জোরদার করতে হবে। মানুষের পুষ্টি চাহিদা পূরণ এবং সেই সঙ্গে মাছের স্বাদ অক্ষুন্ন রেখে মৎস্য গবেষণা আরও বেগবান করতে হবে।

বাংলাদেশে মাছ যেমন সম্পদ তেমনি বিজ্ঞানীরা আমাদের দেশের বড় সম্পদ, মৎস্যজীবীরাও আমাদের সম্পদ।

বুধবার(২০ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউ এ সেচ ভবনে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) কর্তৃক আয়োজিত "বার্ষিক গবেষণা অগ্রগতি (২০২৩-২৪) পর্যালোচনা ও পরিকল্পনা প্রণয়ন (২০২৪-২৫)" শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

দেশের কোথায় কোথায় কোনো ধরনের মাছ পাওয়া যায় বিএফআরআইকে সে বিষয়ে গবেষণার আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, গবেষণা ভিত্তিক একটি মানচিত্র তৈরি করতে হবে। বিশেষ করে আগামী প্রজন্মকে মাছ সম্পর্কে জানার জন্য খুবই সহায়ক হবে। বিএফআরআই তাদের জার্নাল পাঠক পর্যায়ে বোধগম্য করার জন্য ইংরেজির পাশাপাশি বাংলাতে প্রকাশ করতে পারে।

উপদেষ্টা বলেন, বিভিন্ন শিল্প কলকারখানার বর্জ্য নদ-নদীকে দূষিত করছে এর ফলে মাছে নানা ধরনের রোগ এমনকি মাছ মারা যাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ফলে নোনা পানি মিঠা পানিতে মিশছে, নানা রকমের প্রতিকূল পরিবেশে মাছের কি ধরনের সমস্যা হচ্ছে এবং তা দূরীকরণে বিএফআরআই-কে গবেষণার জন্য আহ্বান জানান তিনি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব এ.টি.এম মোস্তফা কামাল বলেন, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট হারিয়ে যাওয়া দেশীয় প্রজাতির অনেক মাছ ফিরিয়ে এনেছে। দেশীয় মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করে আরও বেশি মাছ কিভাবে সাধারণ মানুষের নিকট পৌঁছানো যায় তা নিয়ে বিএফআরআই-কে গবেষণা করতে হবে।

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. অনুরাধা ভদ্রের সভাপতিত্বে গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তৃতা করেছেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জিল্লুর রহমান। মৎস্য গবেষণার  ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ওই কর্মশালায় বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের শতাধিক বিজ্ঞানীসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, মৎস্যচাষি ও জেলে প্রতিনিধি ও উদ্যোক্তাসহ বিভিন্ন পেশার শতাধিক প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ০০৪৫ ঘন্টা, নভেম্বর ২১, ২০২৪
এসকে/জেএইচ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।