ঢাকা: আয়নাঘরে থাকার অভিজ্ঞতা জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আয়নাঘর, যেখানে মানুষকে গুম করা হতো, সেখানে আমারও অভিজ্ঞতা হয়েছিল ২৪ ঘণ্টা থাকার। আমি থেকেছি সেই রুমটায় এবং দেখেছি দেয়ালে তাদের লেখা, যারা দীর্ঘদিন ধরে সেখানে বন্দি ছিলেন।
উপদেষ্টা নাহিদ বলেন, আয়নাঘর– গুম এসব বিষয় নিয়ে আগে কেউ কথা বলতে পারতেন না। গুম কমিশনে প্রায় এক হাজার ছয় শতাধিক আবেদন করা হয়েছে। এই সংখ্যা বেড়ে পাঁচ হাজার হতে পারে। গত ১৫ বছরে অসংখ্য নিপীড়নের ভয়াবহ গল্প আছে। সেগুলো এতটাই ভয়াবহ যে, যারা এর শিকার হয়েছেন, তারা এখন সেগুলো নিয়ে কথা বলতে চান না।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
‘বিদ্রূপ ও উপহাসের রাজনীতি: জুলাই বিদ্রোহের সময় কার্টুন ও গ্রাফিতি’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ।
তিনি বলেন,আমাদের আন্দোলনটাও আসলে দেয়াললিখন এবং আর্টওয়ার্কের মাধ্যমে এগিয়েছে। আমরা এখন চিন্তা করছি এগুলো সংরক্ষণ করার। মানুষ আসলে কী বলতে চেয়েছিল এবং মানুষ আসলে কী বলতে চায়, এগুলোর উপাদান আমরা সেখানে পাব।
আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা। এছাড়াও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এস এম আমানুল্লাহ বক্তব্য দেন।
বাংলাদেশ সময়: ০০০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০২৪
এএটি