ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নৌবাহিনীর জাহাজ বিশখালীর কমিশনিং অনুষ্ঠিত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০২৪
নৌবাহিনীর জাহাজ বিশখালীর কমিশনিং অনুষ্ঠিত

খুলনা: বাংলাদেশ নৌবাহিনী ‘জাহাজ বিশখালী’র কমিশনিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে খুলনাস্থ বানৌজা তিতুমীরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম নাজমুল হাসান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে একটি আধুনিক, শক্তিশালী ও সক্ষম নৌবাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, আমাদের মাতৃভূমির স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সর্বোপরি ভূ-রাজনৈতিক প্রয়োজনে একটি শক্তিশালী নৌবাহিনী অপরিহার্য। নৌবহরের সক্ষমতা বৃদ্ধির ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী আজ এক সুদক্ষ ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। নিজস্ব প্রযুক্তিতে নির্মিত জাহাজ ‘বানৌজা বিশখালী’ নৌবাহিনীর সক্ষমতার আর একটি মাইলফলক।

নৌবাহিনীর অন্যান্য যুদ্ধজাহাজের মতো এ জাহাজ দেশের নদী ও সমুদ্রসীমার চোরাচালান প্রতিরোধ, উপকূলীয় এলাকায় টহল, অবৈধ মৎস্য আহরণ প্রতিরোধ, বাণিজ্যিক জাহাজকে জলদস্যুর কবল থেকে নিরাপত্তা দেওয়া, মাদকদ্রব্যসহ নিষিদ্ধ বস্তুর অনুপ্রবেশ রোধকরণ, উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করাসহ অপারেশনাল কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত থেকে দেশ সেবায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে জানান তিনি।

নৌবাহিনী প্রধান আরও বলেন, দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে বন্দরসমূহের নিরাপত্তা প্রদান, সমুদ্র বাণিজ্যের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, ব্লু-ইকনোমি বাস্তবায়নসহ দেশের যেকোন দুর্যোগ মোকাবিলায় নৌবাহিনী সর্বদা নিবেদিত। নৌবাহিনীর নিজস্ব শিপইয়ার্ডে যুদ্ধজাহাজ নির্মাণে একদিকে যেমন বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা ও বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হচ্ছে, অপরদিকে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ক্রেতা নৌবাহিনী থেকে নির্মাতা নৌবাহিনী হিসেবে নতুন সক্ষমতার উন্নীত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জাহাজটির অধিনায়কের কাছে কমিশনিং ফরমান তুলে দেন এবং অনুষ্ঠানিকভাবে নামফলক উন্মোচন করেন।

উল্লেখ্য, ‘বানৌজা বিশখালী’ জাহাজটি ১৯৭৮ সালে নৌবাহিনীতে কমিশনিং-এর পর থেকে সব অপারেশনাল কার্মকাণ্ডে সফলতার সঙ্গে অংশগ্রহণ করেছে। দীর্ঘ ৩৬ বছর দেশের জলসীমার সুরক্ষায় নিয়োজিত থাকার পর জাহাজটি ২০১৪ সালে বাংলাদেশ নৌবাহিনী থেকে ডি-কমিশন করা হয়। পরবর্তীতে খুলনা শিপইয়ার্ডে ২০১৯ সালের ২ ডিসেম্বর নতুন করে জাহাজটি নির্মাণের লক্ষ্যে কিল লেয়িং করা হয়। ৪১তম টহল নৈপুণ্য স্কোয়াড্রনের পঞ্চম জাহাজ ‘বানৌজা বিশখালী’ নির্মাণ শেষে গত ২২ নভেম্বর ২০২৩ তারিখ নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।

বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে নব সংযোজিত জাহাজটির দৈর্ঘ্য ৫১.৬ মিটার এবং প্রস্থ ৭.৫ মিটার। জাহাজটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২১ নটিক্যাল মাইল বেগে চলতে সক্ষম। জাহাজটি আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন এবং একটি ৪০ মি. মি. বফর গান, দুটি ১২.৭ মি. মি. হেভি মেশিনগান, মাইন লেইং রেল, অত্যাধুনিক সারভাইলেন্স র‌্যাডার, জিপিএস, ইকো-সাউন্ডার সিস্টেমসহ বিভিন্ন ধরনের যুদ্ধ সরঞ্জামাদিতে সুসজ্জিত।

অনুষ্ঠানে নৌবাহিনী সদর দপ্তরের পিএসও, বীর মুক্তিযোদ্ধা, উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০২৪
এমআরএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।