ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

পাচারের টাকা ফেরত আনতে আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে বসবে সরকার: প্রেস উইং

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০২৪
পাচারের টাকা ফেরত আনতে আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে বসবে সরকার: প্রেস উইং

ঢাকা: গত ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগ আমলে পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনতে সরকার বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে কাজ করবে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

রোববার (০১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, যে টাকাগুলো বাইরে চলে গেছে, এটা আমাদের সরকারের অন্যতম অঙ্গীকার, এই টাকা যেভাবে হোক আমরা ফেরত আনার চেষ্টা করব। সেই অনুযায়ী এই ১০ ডিসেম্বর থেকেই আপনারা দেখবেন অনেকগুলো কাজ শুরু হয়ে যাচ্ছে, অনেকের সঙ্গে, আন্তর্জাতিক যেসব প্রতিষ্ঠান এগুলো নিয়ে কাজ করে তাদের সঙ্গে আমাদের অনেক ধরনের বৈঠক হচ্ছে, কথা হবে।

তিনি বলেন, আমাদের পুরো ফোকাস হবে এই টাকাটা কীভাবে ফেরত আনা যায়। আগে তো ট্রেস করতে হবে, দ্বিতীয় কীভাবে টাকাটা ফেরত আনা যায়। এটা অবশ্যই কষ্টসাধ্য কাজ। কিন্তু এটা আমাদের একদম শীর্ষ অগ্রাধিকারগুলোর একটা, যে এসব টাকা আনতেই হবে।

শ্বেতপত্রে দুর্নীতির চিত্র উঠে এসেছে, সে সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, এত বছর উন্নয়নের যে গল্পটা করা হয়েছে, সেটাকে ওনারা আসলে পোস্টমর্টেম করেছেন। এই পোস্টমর্টেমের মাধ্যমে যেটা বেরিয়ে এসেছে, সেটা খুবই ভয়াবহ চিত্র। আমাদের চোখের সামনে, গোটা দেশের মানুষের চোখের সামনে একটা লুটপাট চলেছে।

শফিকুল আলম বলেন, অধ্যাপক ইউনূস এটা (দুর্নীতির ভয়াবহ চিত্র) শুনে বললেন যে, আমরা আতঙ্কিত। কী ভয়াবহ অবস্থা, আমাদের রক্ত হিম করার মতো অবস্থা।

তিনি বলেন, অনেক মানুষ গরিব, এই গরিব মানুষের টাকা এরা লুটপাট করেছে। এরা যে খুব বেশি লোক তা না। এখানে রাজনীতিক ছিলেন, আমলা ছিলেন, অলিগার্ক ছিলেন। কিছু ব্যবসায়ী ছিলেন। আপনারা জানেন আমাদের অনেক সাংবাদিক এটার বৈধতাও দিয়েছিলেন।

প্রেস সচিব বলেন, অধ্যাপক ইউনূস বলেছেন, এটা লুটপাটের এমনই চিত্র, এটা আমাদের পাঠ্যবইয়ে আসা উচিত। কলেজে বা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের জানা উচিত গত ১৫ বছর কীভাবে এই লুটপাটটা চলেছে।

পাচারের টাকা ফেরত আনতে এই সরকারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, যে টাকাগুলো বাইরে চলে গেছে, এটা আমাদের সরকারের অন্যতম অঙ্গীকার, এই টাকা যেভাবে হোক আমরা ফেরত আনার চেষ্টা করব।

তিনি বলেন, সেই অনুযায়ী এই ১০ ডিসেম্বর থেকেই আপনারা দেখবেন অনেকগুলো কাজ শুরু হয়ে যাচ্ছে, অনেকের সঙ্গে, যারা যারা প্রতিষ্ঠান এগুলো নিয়ে কাজ করে তাদের সঙ্গে আমাদের অনেক ধরনের বৈঠক হবে, কথা হবে। আমাদের পুরো ফোকাস হবে, এই টাকাটা কীভাবে ফেরত আনা যায়।

দুর্নীতির ভয়াবহতা তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, পতিত স্বৈরাচার এক ধরনের বীরত্বের সুরেই বলছিলেন যে, তার পিয়নও ৪০০ কোটি টাকা বানিয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০২৪
এমইউএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।