গাইবান্ধা: গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরির ৪১ চুল্লি গুঁড়িয়ে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলার কামালের পাড়া ইউনিয়নের বাঙালি নদীর তীরে চুকুলী ও বাঙ্গাবাড়ী গ্রামে অবৈধভাবে এ ব্যবসা চালিয়ে আসছিল একাধিক চক্র।
শনিবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইসাহাক আলী এ অভিযান পরিচালনা করেন।
এসময় স্থানীয় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের পৃথক টিম তার সঙ্গে ছিলেন।
ইউএনও বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই উপজেলার কামালের পাড়া ইউনিয়নে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি করা হচ্ছিল। কারখানার ধোঁয়ায় বয়স্ক- শিশুরা সর্দি-কাশিসহ শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতায় ভুগছিল। এছাড়া জমির ধানসহ অন্যান্য ফসলের ক্ষতিসহ দূষণ হচ্ছিল সার্বিক পরিবেশ।
এলাকাবাসীর এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে অবৈধ পন্থায় কয়লা তৈরির চুল্লিগুলো গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
কারখানা সূত্রে জানা যায়, প্রতিমণ জ্বালানি কাঠের বাজার দর ১৪০ টাকা। প্রতি মণ কয়লা বিক্রি হয়ে থাকে ৮০০ টাকা। প্রতিটি চুলায় একবারে প্রায় ২০০ মণ কাঠ পোড়ানো যায়। একবার চুলায় আগুন দিলে কাঠ পুড়ে কয়লা হতে সময় লাগে সাত দিন।
এসব কয়লা প্রধানত ব্যাটারি, মশার কয়েল, প্লাস্টিক, অ্যালুমিনিয়াম ও সিসা তৈরির কারখানায় বিক্রি করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০২৪
আরএ