ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

চতুর্থ বিয়ের কথা নিয়ে তর্ক, ভাঙ্গায় দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ১০

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০২৪
চতুর্থ বিয়ের কথা নিয়ে তর্ক, ভাঙ্গায় দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ১০ দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ

ফরিদপুর: চতুর্থ বিয়ের কথা নিয়ে তর্কের জের ধরে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার মুনসুরাবাদ গ্রামের দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নারী- পুরুষসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

গুরুতর আহত ছয়জনকে ভাঙ্গা ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি আহতরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।  

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার মুনসুরাবাদ এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।  

এলাকাবাসী ও পুলিশ জানান, মুনসুরাবাদ বাজারে মাওলানা জাহিদ তার মাহফিলের আশা ৮০০ লোকের খাওয়ার জন্য বাজার করেন। এতো লোকের আয়োজন দেখে তার চাচাতো ভাই রাসেল মোল্লা চায়ের দোকানে বসে বলেন, আমার চাচাতো ভাই জাহিদ আগে তিনটি বিয়ে করেছে। সে যে পরিমাণ টাকা খরচ করে তাতে তার আরেকটি চারটা বিয়ে করা উচিত।  

একথা বলার সঙ্গে সঙ্গে জাহিদ মাওলানার শ্বশুর (৩ নম্বর স্ত্রীর বাবা) বাবর আলী মাতুব্বর (মেম্বার) দলের ইলিয়াস মাতুব্বরের সঙ্গে আলম মোল্লার (মেম্বার) দলের রাসেল মোল্লার সঙ্গে চারটি বিয়ের কথা নিয়ে কাটাকাটির এক পর্যায় হাতাহাতি হয়।

এ ঘটনার জের ধরে বুধবার সকালে মুনসুরাবাদ গ্রামবাসী দুই দলে ভাগ হয়ে বাবর আলী মাতুব্বরের দলের লোকজন ও আলম মোল্লার দলের লোকজন দেশীয় অস্ত্র, ডাল, টেঁটা, রানদা, ইটপাটকেল নিয়ে ঘণ্টাব্যাপী ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। আলম মোল্লার লোকজনের হামলায় বাবর আলী মাতুব্বরের লোকজন বেশি আহত হয়েছেন। পরে আশপাশের স্থানীয় মাতুব্বর ও ভাঙ্গা থানা পুলিশের সহায়তায় সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে ভাব বিরাজ করছে। সংঘর্ষে উভয়দলের নারী-পুরুষ সহ ১০ জন আহত হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পুলিশ মাওলানা জাহিদ ও তার ভাই আলম মোল্লাকে আটক করেছে।

এ বিষয়ে লালন মাতুব্বর বলেন, জাহিদ মাওলানার ভাই আলম মোল্লার লোকজন বাবর আলী মাতুব্বরদের লোকজনকে মারধর করেছে। সেই বিচার আলম মোল্লা না করে উল্টো আমাদের লোকজনের ওপরে হামলা চালিয়ে সাত-আটজন লোক আহত করেছে।  

গুরুতর আহতদের মধ্যে রিয়াজ মাতুব্বর (৫৫), একলাচ মাতুব্বর (৩৭), সাইদুল মোল্লা (৩৮), চম্পা বেগম (৩০), দলা মাতুব্বর (২৫) ও কাওছার মাতুব্বরকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।  

এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোকছেদুর রহমান বলেন, সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করি। পরবর্তী সংঘর্ষ এড়াতে ঘটনাস্থল থেকে জিজ্ঞেসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করেছি। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০২৪
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।